উত্তরকাশী: ১৩ দিন কাটতে চলেছে। এখনও সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) ভিতর আটকে ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে ‘পঞ্চবাণ’ দিতে শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। অর্থাৎ ৫টি বিকল্প পথের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। যাতে একটি উপায় ব্যর্থ হলেও অপর পথ খোলা থাকে। যে পঞ্চবাণ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল ভার্টিক্যাল ড্রিলিং (Vertical Drilling)। অর্থাৎ পাহাড়ের উপর থেকে ড্রিলিং করে সুড়ঙ্গে ঢোকার চেষ্টা। সেই পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে TV9 বাংলা। সেখান থেকে এলাকার যে খবর মিলছে, উদ্ধারকাজের ছবি পাওয়া যাচ্ছে, তা এককথায় অভাবনীয়।
গোটা এলাকা গভীর জঙ্গলে ঘেরা। এলাকাটির নাম রাড়ি টপ। দিনের আলো ফুরিয়ে অন্ধকার নামলেই বেরিয়ে আসে ভাল্লুক, চিতা। এই এলাকায় এখনও পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। নেই কোনও জনবসতি। এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে সামনে রেখেই প্রতি মুহূর্তে কাজ করে চলেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। তাদের মূল লক্ষ্য, সুড়ঙ্গের সাইড ড্রিলিংয়ের জন্য পাহাড়, জঙ্গল কেটে রাস্তা তৈরি করা। নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হওয়ার পরেই অগার মেশিন সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে পৌঁছবে উদ্ধারকারী দল। তারপর শুরু হবে সাইড ড্রিলিং। জঙ্গল ঘেরা এলাকায় হিংস্র পশুর ভয় বুকে নিয়ে কাজ করে চলা যে কষ্টসাধ্য, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিআরও-র কর্মীরা।
যদিও উদ্ধারকারী দল অন্যপথে সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের ভিতরে অনেকটাই পথ পৌঁছে গিয়েছে। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে আর মাত্র কয়েক মিটার পথ বাকি। উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকদের মতে, সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে এখনও ১২-১৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর জঙ্গলঘেরা এলাকায় নতুন করে রাস্তা তৈরি করার কী প্রয়োজন? আসলে উদ্ধারকারী দল আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। যে পথে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চলছে, সেই পথে কোনও বিপত্তি এলে যাতে উদ্ধারকাজ থমকে না যায়, সেজন্যই এই বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, টনটান উত্তেজনা এখন রাড়ি টপ জঙ্গল এলাকাতেও।