প্রায় আড়াই দশকের বেশি সময় পর ফের সংবাদ শিরোনামে বাস্তু শাস্ত্রী খুশদীপ বনসল। অতীতে ১৯৯৭ সালে একবার তিনি সংসদ ভবনের বাস্তুতে ‘খুঁত’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। দাবি করেছিলেন সংসদ ভবনের গ্রন্থাগারের নাকি স্থাপত্যগত কিছু ‘ত্রুটি’ রয়েছে। এই ধরনের দাবির মধ্যে দিয়ে সে সময় বেশ চর্চাতেও ছিলেন বাস্তু শাস্ত্রী বনসল। এবার আড়াই দশকেরও বেশি সময় পর ফের একবরা চর্চায় ওই বাস্তু শাস্ত্রী। তবে এবার একেবারে চরম বেকায়দায় পড়েছেন, মুখ লুকানোর জায়গা নেই। ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এই বহুল চর্চিত বাস্তু শাস্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, সোমবারই রাজধানী দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তরফে এই বাস্তু শাস্ত্রীকে ধরার জন্য একটি বিশেষ যৌথ অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানেই পুলিশের জালে ধরা পড়েন বাস্তু শাস্ত্রী বনসল ও তাঁর ভাই। দিল্লির বারাখাম্বা এলাকা থেকে তাঁদের দু’জনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল সেলের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সোমবার সকালেই অভিযুক্ত বাস্তু শাস্ত্রী বনসলকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেয় অসম পুলিশ। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে অসমের উদ্দেশে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের মোকদ্দমা হবে।
সূত্রের খবর, অসম পুলিশের তরফে দিল্লি পুলিশের কর্তা সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং বনসলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অসল পুলিশের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এরপরই এক যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় ওই বাস্তু শাস্ত্রীকে। সূত্রের খবর, এই দুর্নীতির মামলায় মধ্য প্রদেশের এক কংগ্রেস নেতার ছেলের নামও উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, সংসদ-ভবন সংক্রান্ত ওই দাবির পর বেশ চর্চা হয়েছিল খুশদীপ বনসলকে নিয়ে। এই ব্যক্তির বাস্তু শাস্ত্রের উপর আটটি বই রয়েছে। বনসল দাবি করেন, তিনি একাধিক রাজ্য সরকার, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।