নয়া দিল্লি: ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় হিংসার ঘটনা মনে করাচ্ছে একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক হিংসা। এমনই অভিযোগ করে বাংলায় হিংসা বিধ্বস্ত হিন্দু পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে তহবিল গঠন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে বিবৃতি দিয়ে জানান, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য সারা দেশের মানুষকে তাঁরা আবেদন জানাচ্ছেন।
হিন্দু পরিষদের দাবি, ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পর বাংলায় ঘরছাড়া হয়েছেন ১১ হাজার হিন্দু। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ভোটের ফল পরবর্তী হিংসায়। এই কয়েক দিনে বাংলার ১৪২ জন মহিলা অত্যাচারিত হয়েছেন, ৫ হাজার বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ হিন্দু সংগঠনের। এই প্রেক্ষিতে সারা দেশ জুড়ে বাংলার আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির জন্য তহিল গঠনে নেমেছে তারা।
ভিএইচপি-র সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ভোট পরবর্তী বাংলায় তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষের ওপরও প্রবল অত্যাচার চলছে। শুধু সুন্দরবনে ২০০-র বেশি ভাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে দাবি করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলার সাত জায়গায় হিন্দুদের তাড়িয়ে তাদের জায়গা দখল করেছে জিহাদিরা!
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার অভাব’, হিংসা থামাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ দিলীপ ঘোষ
মিলিন্দ পারান্দের দাবি, বাংলায় এই হিংসা দেশভাগের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আবার তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একাধিক মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। করোনা অতিমারির মধ্যে ঘরছাড়া হিন্দুদের আর্থিক সাহায্যের জন্য সারা দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।