নয়া দিল্লি: বিতর্ক-সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ে না রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। কখনও বিদেশের মাটিতে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, কখনও আবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, একাধিকবার সমালোচিত হয়েছেন রাহুল। নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে শাস্তিও পেতে হয়েছ রাহুল গান্ধীকে। সম্প্রতিই মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। হারিয়েছেন নিজের সাংসদ পদও। শাসক দল বিজেপির আক্রমণের নিশানা হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধীকে পরোক্ষে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Ddhankhar)। শুক্রবারই তিনি রাহুল গান্ধীর বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করা বন্ধ করতে হবে।”
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্মবার্ষীকিতে পোস্ট স্ট্যাম্প কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়েই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন, “কিছু ভারতীয় বিদেশি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেশের উন্নয়নকে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
স্বাধীনতা ও বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নিয়ে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর যে উক্তিগুলি রয়েছে, তা উল্লেখ করেই উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে ভারত ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক যখন আমাদের মধ্যে থেকে কেউ বিদেশের মাটিতে যান এবং ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করেন। এই অভ্যাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।”
তিনি বলেন, “যে ব্য়ক্তির ভারত ও ভারতীয় নাগরিকদের উপরে বিশ্বাস রয়েছে, তিনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার উপরে নজর দেবেন এবং তার জন্য অবদান রাখবেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে খামতি থাকতেই পারে, কিন্তু বিদেশ সফরে গিয়ে, দেশের সমালোচনা করা এবং অবমাননাকর মন্তব্য করা স্বামীজির দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ বিপরীত।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেন সফরে গিয়ে লন্ডনে একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্য়ালয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র আজ হামলার মুখে পড়েছে এবং ক্রমাগত তা আক্রান্ত হচ্ছে। রাহুলের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়।