Jagdeep Dhankhar: রাজ্যপাল হওয়ার তিন বছরের মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি, জগদীপ ধনখড়ের বেতন কত বাড়ল?

নয়াদিল্লি: দেশের ১৪ তম উপরাষ্ট্রপতি হলেন জগদীপ ধনখড়। ২০২২ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মার্গারেট আলভাকে ৩৪৬ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হলেন তিনি। রাজস্থানের অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে আসা ধনখড় এর আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। রাজ্যপাল হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন তিনি। রাজ্যপাল হিসাবে যে সুযোগসুবিধা পেতেন ধনখড়, উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর থেকে অনেক বেশি সরকারি সুবিধা পাবেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় বাড়বে তাঁর মাসিক বেতনও।

রাজ্যপাল থাকার সময় কলকাতার রাজভবনে থাকতেন জগদীপ ধনখড়। সস্ত্রীক সেখানে থাকতেন তিনি। রাজ্যপাল হিসাবে ধনখড় বেতন পেতেন প্রতি মাসে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জগদীপ ধনখড় প্রতি মাসে পাবেন চার লক্ষ টাকা। স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স অব পার্লামেন্ট অফিসার্স অ্যাক্ট, ১৯৫৩ অনুসারে নির্ধারিত হয় উপরাষ্ট্রপতির বেতন। এই চার লক্ষ টাকা বেতনের পাশাপাশি বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন ধনখড়। বেতন ছাড়াও দৈনিক বিভিন্ন রকম ভাতা বরাদ্দ থাকে উপরাষ্ট্রপতির জন্য। ট্রেন, বিমান সফর করতে পারেন নিখরচায়। ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল ফোন সার্ভিসও বিনামূল্যে পান তিনি। এ ছাড়াও রয়েছে তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী।

উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় জগদীপ ধনখড়ের নতুন বাসস্থান হবে দিল্লির উপরাষ্ট্রপতি ভবন। নয়াদিল্লির মৌলানা আজাদ রোডে এই বাসভবন রয়েছে। ১৯৬২ সালে মে মাস থেকেই এটাই উপরাষ্ট্রপতির থাকার জায়গা। ৬.৪৮ একর জমিতে অবস্থিত এই বাসভবন।

১৯৫১ সালের রাজস্থানের কিথানা গ্রামে জন্ম ধনখড়ের। আইনজীবী ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট ও রাজস্থান হাইকোর্টেও প্র্যাকটিস করেছেন তিনি। পিভি নরহিংসরাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজস্থানে অশোক গেহলতের উত্থানের পর থেকে বিজেপি শিবিরে নাম লেখান তিনি। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন তিনি। ২০২২ সালে হলেন উপরাষ্ট্রপতি।