হরিদ্বার : ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম. বেঙ্কাইয়া নাইডু (M. Venkaiah Naidu) আজ দেশের জনগণকে তাদের “ঔপনিবেশিক মানসিকতা” ত্যাগ করার ডাক দিয়েছেন। তিনি নিজস্ব পরিচয়ে গর্ব করতে শিখতে বলেছেন। তিনি স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে শিক্ষার ম্যাকোলে পদ্ধতিকে (Macaulay System of Education) সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে এটি দেশে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে একটি বিদেশী ভাষা চাপিয়েছে এবং শিক্ষাকে অভিজাতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে। সেই শিক্ষা পদ্ধতি থেকে ভারতীয়দের বেরিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President)। তিনি এদিন শিক্ষায় গেরুয়া রঙ লাগানো এবং মাতৃভাষার আরও বেশি করে প্রচলনের কথা বলেন তিনি।
তিনি শিক্ষায় গেরুয়া রঙের প্রসঙ্গে এদিন বলেছেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে আমরা শিক্ষায় গেরুয়া রঙ লাগানোর। কিন্তু এই গেরুয়ার সঙ্গে সমস্যাটা কী? সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ (সবাই খুশি হোক) এবং বাসুধৈব কুটুম্বকম (গোটা বিশ্ব একটা পরিবার)- এই দর্শনগুলির উল্লেখ আমাদের প্রাচীন গ্রন্থে রয়েছে। এই দর্শন আজও আমাদের পররাষ্ট্র নীতির নিদের্শক হিসেবে কাজ করে।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) দিল্লির মসনদে বসার পর থেকে বিরোধীরা ক্রমাগত অভিযোগ তুলেছে যে শিক্ষার গৈরিকিকরণ করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলছে। এর প্রাসঙ্গিক উদাহরণ আমরা সম্প্রতি দেখেছি। গুজরাতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিধানসভায় ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। সেখান মসনদে রয়েছে বিজেপির সরকার।
তবে এদিন তিনি তাঁর ভাষণের সময় মাতৃভাষার ব্যবহারে তরুণ প্রজন্মতে উৎসাহিতও করেছেন। বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, “আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি যেদিন একটি নিজ নিজ রাজ্যের মাতৃভাষায় সমস্ত গ্যাজেট নোটিফিকেশন জারি করা হবে। আপনার মাতৃভাষা আপনার দৃষ্টিশক্তির মতো, যেখানে একটি বিদেশী ভাষা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আপনার চশমার মত।” উল্লেখ্য, শিক্ষা ব্যবস্থার ভারতীয়করণ ভারতের নতুন শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দু। নাইডু বলেছেন এই নয়া শিক্ষানীতি মাতৃভাষার প্রচারের উপর জোর দেয়।