Kanjhawala death case: দুর্ঘটনার রাতে স্কুটিতে একা ছিলেন না মৃত তরুণী, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল্লি পুলিশের হাতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jan 03, 2023 | 1:20 PM

Kanjhawala death case: পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্ঘটনার রাতে স্কুটিতে একা ছিলেন না মৃত তরুণী। সেদিন বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে একসঙ্গে ছিলেন দুই বান্ধবী।

Kanjhawala death case: দুর্ঘটনার রাতে স্কুটিতে একা ছিলেন না মৃত তরুণী, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল্লি পুলিশের হাতে
স্কুটিতে দুই তরুণী

Follow Us

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে দুর্ঘটনায় (Delhi Accident) তরুণীর মৃত্যু ঘিরে উত্তরোত্তর ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। পুলিশি তদন্ত যত এগোচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। দুর্ঘটনার রাতে স্কুটিতে একা ছিলেন না অঞ্জলি সিং। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বান্ধবীও। মারুতি সুজুকি স্কুটিতে ধাক্কা মারার পর আহত হন ওই তরুণীও। কিন্তু ভয় পেয়ে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এই দুর্ঘটনায় কিছুটা আহতও হয়েছিলেন ওই বান্ধবী। মঙ্গলবার বিশেষ পুলিশ কমিশনার এদিন বলেছেন, “মৃত ব্যক্তি স্কুটিতে একা ছিলেন না। দুর্ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক তরুণী। দুর্ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এখন আমাদের কাছে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।”

সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার রাতে এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে হোটেলে গিয়েছিলেন অঞ্জলি সিং ও তাঁর বান্ধবী। সেখানেই পার্টি করে রাতে ২ টোর সময় বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। স্কুটারে একা ছিলেন না অঞ্জলি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সেই বান্ধবীও। মারুতি সুজুকি স্কুটারে ধাক্কা মারার মুহূর্তে স্কুটার থেকে পড়ে যান অঞ্জলি। সেই সময় গাড়ির নীচে আটকে যায় তাঁর দেহ। সঙ্গে আহত হন অঞ্জলির বান্ধবীও। কিন্তু ভয় পেয়ে তিনি সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে বন্ধুর দুর্ঘটনা দেখে পালিয়ে গেলেও পুলিশকে কিছু জানায়নি কেন ওই তরুণী?

এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হোটেলে পার্টি করছিলেন ওই দুই তরুণী সেই হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, পার্টির রাতে দুই তরুণীর মধ্য়ে তুমুল ঝগড়া হয়। হোটেল ম্যানেজার তাঁদের ঝগড়া করতে বারণ করায় তাঁরা নীচে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করেন। হোটেলের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই তরুণী একসঙ্গে স্কুটারে করে বের হচ্ছেন। সোমবার বিকেলেই এই দ্বিতীয় তরুণীকে খুঁজে বের করেছে পুলিশ। ঘটনার আঁচ পেতে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকজন যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পার্টিতে তাঁদের সঙ্গে সেই যুবকদের কথা বলতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে অঞ্জলির পরিবারের তরফে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছেন, দিল্লি পুলিশ অঞ্জলির দ্রুত অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাঁদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা নিজের মেয়ের দেহ দাহ করবেন না।

Next Article