লখনউ: সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল গঙ্গা প্রসাদ। উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর এলাকার এক সাড়া ফেলে দেওয়া ডাকাত। আর ছাড়া পাওয়ার পরই তার দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করল সে। কী সেই আকাঙ্খা? একটি জ্যান্ত সাপ ধরে খেয়েছে সে। আর এই উদ্ভট এবং নৃশংস ঘটনা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সাপটিকে ছিঁড়ে খাওয়ার পর এই ভয়ঙ্কর ডাকাত যেভাবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হেসেছে, তাতেই ধরা পড়েছে তার ঠান্ডা হিংস্র মেজাজ। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, সাপের প্রতি তার বরাবরই এক অদ্ভূত আকর্ষণ রয়েছে। জেলে যাওয়ার আগেও তাকে বহু সময়, জমি থেকে বা নদী থেকে সাপ ধরতে দেখা গিয়েছে। জেলে থাকার সময় সাপ পায়নি, তাই বেরিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
ঘটনার একটি ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গায়ে একটি স্যান্ডো গেঞ্জি এবং ছোট প্যান্ট পরে এবং গলায় গামছা জড়িয়ে লদীর ধারে উবু হয়ে বসে ডাকাত গঙ্গা প্রসাদ। প্রথমে দেখে মনে হতে পারে, সে বোধহয় অঞ্জলি ভরে নদী থেকে জল সংগ্রহ করছে। কিন্তু, এরপরই দেখা যায় সে খালি হাতেই নদী থেকে একটি সাপ ধরে। এরপর সে কিছু কথা বলে, যার অর্থ বোঝা যায়নি। এরপর, আচমকাই তাকে দেখা যায়, দাঁত দিয়ে সাপটির মাথায় কামড় দিতে। কামড়ে একেবারে ছিঁড়ে নেয় সে সাপটির মাথা। সেটি চিবিয়ে চিবিয়ে খেতেও দেখা যায় তাকে। যারা তার পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে ভিডিয়োটি রেকর্ড করছিলেন, তাঁরাও দৃশ্যতই ঘাবড়ে যান। গঙ্গা প্রসাদকে দেখা যায়, অদ্ভূতভাবে হাসতে। এরপর, সাপটিকে হাতে জড়িয়ে নিয়ে সে সেখান থেকে চলে যায়। ভিডিয়োটি কিষানপুর থানার ‘কালকা কা ডেরা’ এলাকার বলে জানা গিয়েছে।
सांप भी नहीं बच रहे यहां।
जिंदा सांप को खा ले रहा है यह आदमी।यह है डकैत गंगा प्रसाद जो हाल ही में फतेहपुर जेल से छूटा है। pic.twitter.com/yxFCYM3ECI
— Janmejay tiwari (@Janmejay2306) July 8, 2024
সাপের সঙ্গে গঙ্গা প্রসাদের এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে। গঙ্গা প্রসাদের আচরণ মোটেই স্বাভাবিক মানুষের মতো নয় বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তার এই আচরণ যতটাই উদ্ভট, ফতেহপুর এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তার মুক্তি ততটাই ভয়ের। বহু বছর ধরেই ফতেপুর এলাকায় সন্ত্রাস ও ভয়ের সমার্থক হল গঙ্গা প্রসাদ। এলাকার কুখ্যাত শঙ্কর কেভাত গ্যাংয়ের সদস্য সে। লুটপাট, ভয় দেখানো, হুমকি কোনোটাই বাদ দেয় না। দীর্ঘ বছর জেলে ছিল গঙ্গা। তবে, তাতে তার কোনোই বদল ঘটেনি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তার খামখেয়ালী প্রকৃতি এবং ভয় দেখানোর মনোভাব এতটুকু কমেনি। তার এই সাপ খাওয়ার ভিডিয়োতেই সেটা স্পষ্ট। কাজেই, তার অন্যান্য দিকও বজায় আছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।