নয়া দিল্লি : কিছুদিনের মধ্যেই রুপোলি পর্দায় মুক্তি পাবে সাগরিকা চট্টোপাধ্য়ায়ের গল্প। নিজের সন্তানকে নিজের কাছে রাখার জন্য এক ভারতীয় তথা বাঙালি মায়ের গল্প। সেই ছবি নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখন আর এক মা ধারার খবর কি কেউ রাখে? ভারতীয় দম্পতি ধারা ও ভবেশের কাছ থেকে তাঁদের সন্তান আরিহাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১৯ ধরে সন্তানকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। সেই দম্পতির পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বাম নেত্রী বৃন্দা কারাট। সরকার যাতে তাঁদের পাশে দাঁড়ায়, যাতে তাঁদের দ্রুত সাহায্য মেলে সেই আর্জিই জানিয়েছেন তিনি।
বৃন্দা কারাট দাবি করেছেন, সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের সন্তানকে যখন নরওয়ে সরকার আটকে রেখেছিল, সেই সময় ভারতে ছিল ইউপিএ সরকার। সেই সরকারের আমলে আইনি পথে দ্রুত তাঁর সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু দরজায় দরজায় ঘুরেও ধারা, ভবেশ কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
জার্মানিতে থাকতেন ধারা ও ভবেশ। সেখানে তাঁদের কন্যা সন্তানের একটা চোট লাগে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সুস্থও হয়ে যায় সে। এরপরই নাকি ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যায় সেখানকার শিশু সুরক্ষা সংস্থা। পরে ওই মামলায় সন্তানের বাবা-মা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর সন্তানকে ফেরানো হয়নি বলে অভিযোগ। বৃন্দা কারাট বলছেন, সাগরিকাকে নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখন ধারার কথাও প্রত্যেকে শুনুক। বাম নেত্রীর দাবি, মায়ের ওপর যদি ভরসা নাও থাকে, অন্তত বাবা, দাদু-দিদা কারও কাছে ফেরানো হোক।
ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। জার্মানির ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জার্মান সরকার ও আরিহার বাবা-মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র।