Missile attack: অপেক্ষা আর মাত্র ৩-৪ বছরের, ভারতের আকাশে হানা দিলেই মুহূর্তে ধ্বংস হবে শত্রুর মিসাইল
Missile attack: মিসাইল হামলা ঠেকাতে আয়রন ডোম কীভাবে বারবার ইজরায়েলের সহায় হয়েছে, ইরানি হামলা ঠেকাতে ইজরায়েল ও আমেরিকার তৈরি অ্যারো ও ডেভিড কী কামাল করলো, মার্কিন প্যাট্রিয়টের ক্ষমতা কতটা, সবই নিয়েই দুনিয়ায় চর্চার অন্ত নেই। এবার নজর ভারতের উপর।
কলকাতা: রাস্তায় হঠাত্ বৃষ্টি নামলে আমরা কী করি? আশপাশে কোনও ছাদ বা শেল্টার দেখলে তার নিচে দাঁড়িয়ে যাই। সেরকমই আমার, আপনার, সব ভারতীয়র জন্য এক ছাদ তৈরির কাজ চালাচ্ছে ডিআরডিও। যার পোশাকি নাম অল ইউটিলিটি অল ওয়ে ওয়েপন ডিফেন্স সিস্টেম। আকাশ, জল ও মাটি থেকে যে কোনও মিসাইল হামলা রুখে দেওয়ার মতো ছাদ বা ওয়েপেন সিস্টেম তৈরি করছে ভারত। শক্রর হামলা ঠেকানো এবং পাল্টা হামলা। দু’টোই সমানতালে করবে সে। ডিআরডিও চিফ সমীর কামাথ জানিয়েছেন, সাধারণ মিসাইল ডিফেন্সের চেয়ে এগিয়ে থাকা তো বটেই, এমনকি সময়ের চেয়েও এগিয়ে থাকা এক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ভারত।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ডিফেন্স সিস্টেম শুধু মিসাইল নয়। ড্রোন, যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ছোট মাপের আক্রমণকেও চিহ্নিত করতে পারবে। মিসাইল হামলা ঠেকাতে আয়রন ডোম কীভাবে বারবার ইজরায়েলের সহায় হয়েছে, ইরানি হামলা ঠেকাতে ইজরায়েল ও আমেরিকার তৈরি অ্যারো ও ডেভিড কী কামাল করলো, মার্কিন প্যাট্রিয়টের ক্ষমতা কতটা, সবই নিয়েই দুনিয়ায় চর্চার অন্ত নেই। আলাদা, আলাদা সব মিসাইল ডিফেন্স। আলাদা, আলাদা কাজ। কোনটা কম পাল্লার মিসাইলের জন্য কার্যকর আবার কোনওটা ড্রোন হামলাকে চিহ্নিত করতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এখন ভারত এর সবগুলোকে একটাই সিস্টেমে জুড়তে চাইছে।
ডিআরডিও চিফ বেশ জোরের সাথেই বললেন, “এমন একটা ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করা অবশ্যই সম্ভব। আমরা সেব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি বলেই কাজে হাত দিয়েছি। ভারত এখনও শক্তিশালী কোনও এয়ার প্রোটেকশন সিস্টেম তৈরি করতে পারেনি। ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিফেন্সের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হয়েছে, এই পর্যন্তই। তাই এখনও আমাদের মূল ভরসা রাশিয়ার থেকে কেনা এস-৪০০। তো এখন এস-৪০০-র থেকেও বেশি শক্তিশালী ও আলাদা প্রযুক্তির ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির কাজে হাত দিয়েছে ডিআরডিও।”
বিষয়টা কি একটু বেশিই উচ্চাকাঙ্খা হয়ে যাচ্ছে না? প্রশ্নের উত্তরে ডিআরডিও চিফ বললেন, “আজ থেকে কয়েক দশক আগে অগ্নি প্রকল্প যখন শুরু হয়েছিল, তখন ভারত মিসাইল তৈরি করতেই পারত না। এখন তো আমরা ১২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার মিসাইল তৈরির কথা ভাবছি। ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার কথা ভাবছি। তা হলে অল ইউটিলিটি অল ওয়েপেন ডিফেন্স সিস্টেমের কথা ভাবব না কেন? আর এ পথে কিছুটা সাফল্য তো আগেই এসেছে। ভারতের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এখন শক্রর ব্যালেস্টিক মিসাইলকে আকাশে ধ্বংস করে শক্রর দিকে পাল্টা আঘাত হানতে পারে।” তাঁর দাবি, তাই সব ঠিকঠাক চললে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যেই নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স তৈরি করে ফেলবে আমাদের দেশ। সে ভরসা আমরা রাখতেই পারি।