Badminton: বিবিএ-র দুর্দান্ত উদ্যোগ, প্রতিভা তুলে আনতে খুদেদের ক্লাসে ইন্দোনেশিয়ার কিংবদন্তি
Badminton Camp In Kolkata: আগামীতে এই আক্ষেপ হয়তো পূরণ হতেই পারে। বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির লক্ষ্যও সেটাই। বাংলার প্রতিভাদের বিকাশ ঘটানো। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই কলকাতায় খুদে শাটলারদের ক্লাস নিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা ইসনা সাক্তি।
প্রতিভা অনেক জায়গাতেই থাকে। কিন্তু তাদের সঠিক পথে লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়াটাও জরুরি। বাংলাতেও ব্যাডমিন্টনে প্রচুর প্রতিভা। যদিও আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি নামই। তার মধ্যে অবশ্য নেই বাংলা। আগামীতে এই আক্ষেপ হয়তো পূরণ হতেই পারে। বেঙ্গল ব্য়াডমিন্টন অ্যাকাডেমির লক্ষ্যও সেটাই। বাংলার প্রতিভাদের বিকাশ ঘটানো। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই কলকাতায় খুদে শাটলারদের ক্লাস নিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা ইসনা সাক্তি।
বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির উদ্যোগে উইন্টার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সেই ক্যাম্প চলছিল। খুদে খেলোয়াড়দের ক্লাস নেন ইসনা সাক্তি। শনিবার শেষদিনে বিশেষ ওয়ার্কশপ করান ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন শাটলার। তিনি প্রকাশ পাডুকোন অ্যাকাডেমিতে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় আট মাস ধরেই প্রকাশ পাডুকোন অ্যাডেমির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ইসনা। এই অ্যাকাডেমির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিও।
শহরে বিশেষ এই ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যাডমিন্টন কোচ ইসনা সাক্তি বলছেন, ‘কলকাতায় এসে খুবই ভালো লাগছে। এতদিন ওদের নিয়ে কাজ করলাম। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিজের অনেক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পেরেছি। ভারতে এসেছি বেশ কয়েক মাস আগে। এখানে একটা বিষয় দেখেছি, সকলেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করে। কিন্তু শুধু পরিশ্রম যথেষ্ট নয়। সঠিক টেকনিকও প্রয়োজন।’
কয়েক মাস আগেই প্রকাশ পাডুকোনের অ্যাকাডেমির সঙ্গে একটি চুক্তি করে বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি। সেই সুবাদেই কলকাতায় ‘শাটল এক্সপ্রেস’ ব্যাডমিন্টন স্টেডিয়ামে উইন্টার ক্যাম্পে আসেন ইসনা সাক্তি। বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির কর্তা সুব্রত গুপ্ত বলছেন, ‘বাংলা থেকে প্রতিভা তুলে ধরতে চাই। আশা করছি, বাংলা থেকে আগামী দিনে প্রচুর প্লেয়ার উঠে আসবে। এখানকার পরিকাঠামো উন্নত। পাশাপাশি প্রকাশ পাডুকোন অ্যাকাডেমি থেকেও কোচেরা আসছেন। খুদে প্লেয়ারদের দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’
বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির ট্রাস্টি দিলীপ সিং মেহতাও এমন লক্ষ্যের কথাই জানালেন। তবে অ্যাকাডেমিতে তিনি যে ‘শক্তি’ খুঁজে পেয়েছেন তা বলা যায়। মজার ছলে হলেও ইন্দোনেশিয়ার কোচের প্রতি এ ভাবেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। ইসনা সাক্তি জানান, ভারতে তাঁর নামে ‘শক্তি’ উচ্চারণ করছেন অনেকেই। তিনি অবশ্য এর কারণ জানতেন না। বিবিএ-র ট্রাস্টি দিলীপ সিং মেহতা তাঁকে জানান, তিনিই এই মুহূর্তে অ্যাকাডেমির শক্তি (পাওয়ার)। এই উইন্টার ক্যাম্পের মাধ্যমে বাংলার খুদেরা অনেক উন্নতি করেছেন বলেও বিশ্বাস।
শনিবার ক্য়াম্পের শেষ দিন দুটো প্রদর্শনী ম্যাচও খেললেন ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন শাটলার। খুদে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রবল উৎসাহও লক্ষ্য করা যায়। দু-শোরও বেশি শিক্ষার্থীকে এই উইন্টার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেন ইসনা সাক্তি।