নয়া দিল্লি: আজ, সোমবারই সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ আইন। রবিবারই এই আইন সংশোধনী প্রস্তাবনার বিষয়টি সামনে আসে। তারপরই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছে। এক পক্ষ দাবি করছে, ওয়াকফ আইনে সংশোধন করা হলে, ওয়াকফ ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মালিকানাধীন জমি কেড়ে নেওয়া হবে। সত্যিই কি তাই? ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্রই।
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, ওয়াকফ আইনে স্বচ্ছতা আনতে আগ্রহী সরকার। ওয়াকফ বোর্ডের এক্তিয়ার এবং ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করাই লক্ষ্য সরকারের। বর্তমানে যে ওয়াকফ আইন রয়েছে দেশে, তাতে ওয়াকফ সম্পত্তিকে কোনও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। কোনও জমির উপরে অধিকার দাবি করতে ওয়াকফ বোর্ডের সরকারি গণনা বা জরিপেরও প্রয়োজন পড়ে না। সরকারের পর্যবেক্ষণ, সৌদি আরব বা ওমানের মতো মুসলিম রাষ্ট্রেও এমন নিয়ম নেই। নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ড কোনও সম্পত্তির উপরে অধিকার দাবি করলে, বাধ্যতামূলক সরকারি পর্যালোচনা করাতে হবে বলেই সূত্রের খবর।
এই আইন সংশোধনী নিয়ে এক পক্ষ যে বিরোধিতা করছে। তারা প্রচার চালাচ্ছে, আইনে সংশোধন হলে, মুসলিমদের হাত থেকে জমির মালিকানা কেড়ে নেওয়া হবে। এআঅইএমআইএ নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেছেন, বিজেপি শুরু থেকেই ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ সম্পত্তির বিরুদ্ধে ছিল। বিজেপি তাদের হিন্দুত্বের এজেন্ডার অংশ হিসাবেই ওয়াকফ বোর্ডকে মিটিয়ে ফেলতে চাইছে।
আইন সংশোধনী নিয়ে যে ভুয়ো খবর রটেছে, তা দূর করেছে সরকার। মুসলিমদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে বা একমাত্র মুসলিমরাই ওয়াকফ সম্পত্তি তৈরি করতে পারবে, এই ধরনের যাবতীয় তথ্য ভুল বলেই জানিয়েছে সরকার পক্ষ।
সরকারি সূত্র বলা হয়েছে, “একবার ওয়াকফের হাতে জমি চলে গেলে, তা আর ফেরানো যায় না। ওয়াকফ বোর্ডে বসে রয়েছে ক্ষমতাশীল মুসলিমরা। যারা ওয়াকফ বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে, একমাত্র তারাই এই সংশোধনীর বিরোধিতা করছে।”
সরকারের তরফে সাচার কমিটিরও উল্লেখ করা হয়েছে। এই কমিটি দেশের মুসলিমদের অর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই কমিটি বলেছিল, ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন।