নয়া দিল্লি: বাংলায় সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তৃণমূলের পাশে ছিল বিজেপি। পরিবর্তনের পর, ২০১১ সালে যে সরকার গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তাতে বিজেপিরও অবদান ছিল। মঙ্গলবার লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, ইন্ডিয়া জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, ইন্ডিয়া জোটের কারা কারা কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে, তা বুঝে নিতেই এই প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস। ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির পারস্পরিক রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং বিরোধী জোটের সবথেকে বড় দল কংগ্রেসের সঙ্গে বাকি দলগুলির সম্পর্কের রসায়ন,সভায় তুলে ধরেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেসই। মনে করিয়ে দেন, নারদা-সারদা মামলা কংগ্রেস সরকারের আমলেই করা।
নিশিকান্ত দুবে বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিলাম। রাজনাথ সিং এখানে আছেন। তিনি তখন আমাদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন। রাজনাথ সিং সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। আমরা এই আন্দোলনে তৃণমূলের পাশে ছিলাম, তাদের সমর্থন করেছিলাম। বাংলায় তৃণমূল যে সরকার গঠন করেছিল, তাতে আমাদেরও অবদান ছিল। কিন্তু, আপনাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কারা? নারদা মামলা আমরা করিনি। সারদা মামলা আমরা করিনি। এই মামলাগুলি করেছিল কংগ্রেস। ভেবে দেখুন, আপনাদের কংগ্রেসের বিরোধিতা করা উচিত, নাকি আমাদের বিরোধিতা করা উচিত?”
তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি থেকে শুরু করে, ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে অতীতে কংগ্রেস কী ব্যবহার করেছে, তা লোকসভায় তুলে ধরেন বিজেপি সাংসদ। ১৯৭৬ সালে দুর্নীতির অভিযোগ করে করুণানিধির সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করেছিল কংগ্রেস। আটের দশকে শরদ পওয়ারের নির্বাচিত সরকারকেও ক্ষমতাচ্যূত করেছিল কংগ্রেস। এনসিপির শেঠ আবদুল্লাকেও ২২ সাল কারাবন্দি করে রেখেছিল কংগ্রেস সরকার। এই ভাবে তালিকা ধরে ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির ইতিহাস তুলে ধরে নিশিকান্ত দুবে প্রশ্ন করেন, “আমাদের সঙ্গে আপনাদের কীসের বিরোধ?”