নয়া দিল্লি: মহাকাশ অভিযানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? সম্প্রতি এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান, এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ভারতের ‘গগনযান’ অভিযানে প্রার্থী হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গগনযান অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো। ২০২৫ সালেই এই অভিযান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথমবার ভারতের তৈরি একটি মহাকাশযানে চড়ে, ভারতীয় মহাকাশচারীরা যাবেন পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পাঠাতে পারলে, তা নিয়ে তাঁরা গর্ব করবেন বলে জানিয়েছেন এস সোমনাথ।
ইসরো প্রধান বলেন, “যদিও (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) অবশ্যই আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। আমরা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর সক্ষমতা গড়ে তুলতে চাই। আর এই গগনযান মহাকাশ কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি অনেক অবদান রেখেছন। যদি আমাদের মহাকাশে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর ক্ষমতা থাকে, সেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, আমরা সকলেই অত্যন্ত গর্ব বোধ করব।”
গগনযান অভিযান হবে তিনদিনের অভিযান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরো পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষপথে তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে এবং তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরত আনা হবে। প্রাথমিকভাবে এই অভিযান হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সলে। কিন্তু, কোভিড-১৯ মহামারি, লকডাউন এবং অন্যান্য আরও বিবিধ সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছে ২০২৫ সালে। এই অভিযানের মোট খরচ ৯০০০ কোটি টাকা। অভিযান যদি সফল হয়, তাহলে মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এখনও পর্যন্ত রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিন মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদী, গগনযান অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার পাইলটের নাম ঘোষণা করেছিলেন – গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। গগনযান অভিযান আসলে ভারতের উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ অভিযানের প্রথম ধাপ। ইন্ডিয়া স্পেস কংগ্রেস ২০২৪-এ এস সোমনাথ বলেছিলেন ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় ভারত। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। তবে, ভারতের হাতে এখনও এমন কোনও রকেট নেই যেগুলি চাঁদে পাঠিয়ে, সেখান থেকে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।