নয়া দিল্লি: স্বস্তি মিলেছিল দু-একদিনের। আজ ফের ঘন কুয়াশায় ঢাকা সকালেই ঘুম থেকে উঠল রাজধানীর বাসিন্দারা। সাময়িক বিরতি মিললেও, আজ থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহ (Cold Wave)শুরু হয়েছে দিল্লি সহ সমগ্র উত্তর ভারতের (North India)। আবহাওয়া দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিনে হু হু করে পতন হবে তাপমাত্রার (Weather Update)। শূন্যের কাছাকাছিও পৌঁছে যেতে পারে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। কমছে দৃশ্যমানতাও। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস কমে দুই-তিন ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে।
এ দিন সকালেই দিল্লিতে তাপমাত্রা ছিল ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালই এই তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনেই এক ধাক্কায় তাপমাত্রার ৫ ডিগ্রি পারাপতন হয়েছে। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা, মেঘলা আকাশ ছিল দিল্লি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। দিল্লির পালাম এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়িয়েছিল ২০০ মিটারে। অর্থাৎ দশ হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
শুধুমাত্র দিল্লিই নয়, শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ় এবং উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের বেশ কিছু অংশে। ঘন কুয়াশায় মোড়া ছিল এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কুয়াশার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নর্দান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে কমপক্ষে ২০টি ট্রেন দেরীতে চলছে। অন্যদিকে ব্য়াহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। একাধিক বিমান দেরিতে চলছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে দিল্লি সহ উত্তর ভারতে তাপমাত্রা আরও কমবে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার অবধি শৈত্যপ্রবাহ প্রভাবিত হবে। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। প্রবল ঠান্ডার কারণে ফ্রস্টবাইট (frostbite) হতে পারে। সেই কারণে যথাসম্ভব বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্য়ে উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হবে। এটি চরম পর্যায়ে পৌঁছবে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি। এই সময়ে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যেতে পারে। মাইনাস ৪ ডিগ্রি অবধি নামতে পারে তাপমাত্রা। যদিও বর্তমানে জানানো হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহোর জেরে পারাপতন হলেও, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামবে না। সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি থাকতে পারে।