নয়া দিল্লি: গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত ও দিল্লি সংলগ্ন এলাকা। সেই পরিস্থিতি এবার কিছুটা স্তিমিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফ থেকে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। অন্তত ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আর কে জেনামানি জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল -মে মাসে তাপপ্রবাহের যে পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল, তার থেকে এখন অবস্থা অনেকটাই আরামপ্রদ। কিন্তু প্রভাব প্রায় একই আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মূলত হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। এই সব রাজ্যগুলির ২৫ টি শহরে অন্তত ৪৪ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রার পারদ উঠতে দেখা গিয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লিতেও তাপমাত্রা কিছুটা কমবে আগামী কয়েকদিনে। তাই সপ্তাহান্তে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ১৫ জুনের আগে বৃষ্টি শুরু হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশায় ১২ জুন, রবিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। তা সত্ত্বেও রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ওপরে থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এ রাজ্যের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গেই আপাতত থমকে রয়েছে বর্ষা। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ঢোকার কোনও ইঙ্গিত নেই বলেই জানানো হয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে এখনও অনেক দেরি আছে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। তবে থেকে একেবারে বঞ্চিত হবে না দক্ষিণের জেলাগুলি। আগামী তিন-চার দিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে মেঘ সঞ্চার হয়ে এই বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বইবে ঝড়ো হাওয়া। তবে কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম।