নয়া দিল্লি: বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার (১২ অগস্ট) নয়া দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআই দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার সঙ্গে দেখা করলেন তেজস্বী যাদব। সূত্রের খবর, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তাঁর রাজ্যের সাম্প্রতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপরই তিনি বলেন “বিহার, সেই জমি যা গণতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে, আবার দেশকে পথ দেখিয়েছে। আমরা ‘টিকাউ’ (স্থায়ী), ‘বিকাউ’ (বিক্রির জন্য) নই।
নয়াদিল্লিতে বিহারের নয়া উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিহারের সব রাজনৈতিক উন্নয়নের পর আমি গতকাল রাতে দিল্লিতে এসেছি। সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা এবং সনিয়া গান্ধী – আমি দিল্লিতে প্রথম সারির নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছি। সবাই আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারের সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। এটা জনগণের সরকার। নীতীশজির সিদ্ধান্ত বিজেপিকে সময়োপযোগী চপেটাঘাত। বিহার বিধানসভায় বিজেপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এককাট্টা হয়েছে। এটা এখন সারা দেশে দেখা যাবে। মানুষ বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং ধর্মীয় সংঘর্ষে ক্লান্ত।”
भारतीय कम्युनिस्ट पार्टी (मार्क्सवादी) के महासचिव श्री सीताराम येचुरी जी एवं भारतीय कम्युनिस्ट पार्टी के महासचिव श्री डी राजा जी से मिलकर देश और राज्य की वर्तमान सामाजिक, आर्थिक व राजनीतिक परिस्थितियों पर सकारात्मक चर्चा हुई। लोकतंत्र की जननी बिहार ने फिर देश को दिशा दिखाई है। pic.twitter.com/YDxT27R5NB
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) August 12, 2022
সিবিআই এবং ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহার’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তেজস্বী যাদব বলেন, “মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে আমরা বিজেপির সব নাটক দেখেছি। যারা ভয় পায় তাদের ভয় দেখাও, যারা বিক্রি হয় তাদের কিনে নাও। তারা কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে? বিহারীরা ভয় পায় না। আমরা ‘টিকাউ’ (স্থায়ী) এবং ‘বিকাউ’ (বিক্রি) নই…আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি – সিবিআই, ইডি, আইটি – একে একে সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের অবস্থা থানার চেয়েও খারাপ।”
নীতীশ কুমারের পাল্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, আরজেডি, জেডিইউ তারা সবাই সমাজতান্ত্রিক বিশ্বাস নিয়ে একই বাড়ি থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে মারামারি হয়, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি দেখে নীতীশজির সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।”
নয়া দিল্লিতে তেজস্বী যাদবের সফর আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ বর্তমানে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব জাতীয় রাজনীতিতে রয়েছেন। নয়া মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিহারের নয়া উপমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হতে পারে। বর্তমানে, বিহারের নয়া মন্ত্রিসভায় শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব রয়েছেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মন্ত্রিসভা বর্ধিত হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের পরই তেজস্বী যাদবের বিহারে ফিরে আসার কথা।
এদিকে, বিহারের কংগ্রেস বিধায়ক ছত্রপতি যাদব সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর কাছে চিঠি লিখে তাঁর জাতিগত কারণে নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভায় স্থান দাবি করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, “আমি সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের আমার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি। যেহেতু মন্ত্রিসভায় আমার অন্তর্ভুক্তি ওবিসি, বিশেষ করে, যাদবদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। আমি বিহারে দলের একমাত্র যাদব বিধায়ক।”