নয়া দিল্লি: দিল্লিতে শাহি দরবারে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে উপস্থিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোমবারের পর মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে মধ্য়রাত অবধি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
সদ্য় মিটেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ, সবেতেই দাপট দেখিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল খুব ভাল হয়নি। গত নির্বাচনে জয়লাভ করা বেশ কিছু আসনও এবার হাতছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবারই তড়িঘড়ি দিল্লি যান শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরে এটাই প্রথম দিল্লি সফর ছিল বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার। সোমবার রাতে ফেরার পরই আবার মঙ্গলবার তিনি দিল্লি যান। দিল্লিতে হাজির বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
সোমবারই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন সুকান্ত। দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল মঙ্গলবার রাতে।
আগেই জানা গিয়েছে, রাত ১0টা থেকে বৈঠক শুরু হবে। কিন্তু রাজস্থানের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় সময় পিছিয়ে ১১টা করা হয়। সেই মতো রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব রিপোর্ট দিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার ফলাফলের নিরিখে সাংগঠনিক পর্যালোচনা হয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে এলাকায় বিজেপির ভাল ফলাফল হয়েছিল, সেই জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেমন ফল হয়েছে খতিয়ে দেখা হয়। যেখানে ফল খারাপ হয়েছে, সেখানে কারণ চিহ্নিত করাই মূল লক্ষ্য।পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যের সংগঠন কোন জায়গায় রয়েছে, সংগঠনে কোন কোন পরিবর্তন প্রয়োজন, আগামিদিনে প্রচারের ইস্যু এবং কর্মসূচি কি কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।