নয়া দিল্লি: সরস্বতী পুজোর বিকেলে রাজভবনে হাতেখড়ি (Hatey Khari) পর্ব শেষে গতরাতেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর এই দিল্লিযাত্রা নিয়েও বেশ গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল জরুরি তলবে তাঁর এই দিল্লিযাত্রা। যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, তাঁর দিল্লিযাত্রার সূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। শুক্রবার সকালে দিল্লির চাণক্যপুরীতে বঙ্গ ভবন থেকে বেরিয়ে তিনি পৌঁছে যান রাজধানীর একটি বাঙালি স্কুলে। স্কুলের নাম রাইসিনা বঙ্গীয় বিদ্যালয়। এদিন এই বাঙালি স্কুলে এসে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
গতকাল বিকেলে রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। রাজনীতিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন রাজভবনে। প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে ‘জয় হিন্দ’-এর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। প্রসঙ্গত, এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে বিশেষ করে শাসক দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর এই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আর এমন এক বিতর্কের আবহেই এবার রাজধানীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি বহুল চর্চিত কর্মসূচি। প্রতিবছর এই পরীক্ষা পে চর্চার আয়োজন করা হয়। যেখানে ২০০ জন পড়ুয়ার সঙ্গে সামনা সামনি কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি আরও বহু পড়ুয়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে এবার দিল্লির বাঙালি স্কুলে গিয়ে হাজির বাংলার রাজ্যপাল। একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী পড়ুয়াদের মাঝে, তখন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাঙালি পড়ুয়াদের মাঝে। তাহলে কি গতকালের বিতর্কের পর মোদীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।