নয়া দিল্লি: তিনি বর্তমানে তিহাড়ে। কিন্তু মন পড়ে বীরভূমে। বাংলার এত্ত বড় নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু নিজের এলাকায় থাকতে পারলেন না তিনি। নিজে হাতে সংগঠন তৈরি করেছিলেন। গড় বানিয়েছিলেন। আর সেই গড় ‘অভিভাবক’ শূন্য। অনুব্রতহীন বীরভূম আদতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী ফল করতে, তা নিয়ে সংশয় ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। কিন্তু বীরভূমে তুলনামূলকভাবে ভাল ফলই করল তৃণমূল। আর তাতেই খুশি বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড়ে থেকেও নজর রেখেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে। বীরভূমের নির্বাচনের দলের ভাল ফলে অনুব্রত খুশি বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গরু পাচার মামলার শুনানি ছিল। অভিযুক্তদের ১৮ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনুব্রতকেও স্বাভাবিকভাবেই থাকতে হবে তিহাড়ে। তাঁর জামিনের আর্জি আপাতত খারিজ। কিন্তু সে কষ্ট ছাপিয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভাল ফল করার আনন্দ। সূত্রের খবর, দৃশ্যত সে আনন্দ ধরা পড়েছে অনুব্রতর চেহারাতেও।
গণনা সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, তবে এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে মোট ৪৯০ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩৪০টিই বিজেপির দখলে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ২৮৫৯টির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১১৮৯। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২১৭৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে।
অনুব্রতর আমলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জেলা পরিষদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিয়েছিল তৃণমূল। অনুব্রত এবার তিহাড়ে। তাই সেক্ষেত্রে বীরভূমের নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। যদিও বীরভূমের দায়িত্ব কার্যত নিজেই নিয়েছিলেন স্বয়ং নেত্রী। তৈরি করেছিলেন কোর কমিটিও। ফলে সব স্ট্র্যাটেজি মোটামুটি কাজ করে গিয়েছে। আর তাতেই খুশি অনুব্রত। পরবর্তী ১৮ জুলাই অনুব্রতর জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।