কোটা: আরও এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল রাজস্থানের কোটায় (Kota)। এবার NEET পরীক্ষার্থী এই ছাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার রাতে কোটায় ওই ছাত্রের ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর কোটায় মোট ২৮ জন ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ফরিদ হুসেন (২০)। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হুসেন NEET পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গত একবছর ধরে কোটায় ছিলেন। কোটার ওয়াকফ নগরে ছাত্রদের একটি মেসে ভাড়া থাকতেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় সেই ঘর থেকেই হুসেনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদের সহপাঠীরা জানান, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফরিদ হুসেনকে শেষবারের মতো বাড়ির বাইরে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর মেসে নিজের ঘরের ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফরিদের সহপাঠীরা তাঁকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, সাড়া মেলেনি। অবশেষে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ফরিদকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ফরিদ আত্মহত্যা করেছে বলেই পুলিশের দাবি। কিন্তু, কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও স্যুইসাইড নোটও মেলেনি। তবে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপে ফরিদ এই পদক্ষেপ করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, ফরিদের ঘরটি তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার-হাজার ছাত্র কোটায় যান। স্বাভাবিকভাবেই JEE এবং NEET-এর প্রস্তুতির জন্য কোটা অন্যতম স্থান বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু, ইদানিংকালে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে কোটার নাম। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত মোট ২৮ জন ছাত্রের আত্মহত্যা ঘটনা ঘটল। অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ নিতে না পেরেই ছাত্রেরা আত্মহত্যা করছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।