Tattoo Removal: শরীরের ফাঁকে উল্কির উঁকি? এই একটা কারণেই আটকে যেতে পারে চাকরি… বাড়ছে ট্যাটু তোলার প্রবণতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 21, 2022 | 9:48 AM

Tattoo: সকলের তো আর দীপিকা পাডুকোনের মতো কপাল নয়। ঘাড়ের উপর আঁকা 'আরকে' (রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেম করার সময় এই ট্যাটু বানিয়েছিলেন দীপিকা) পরে ফুল হয়ে যাবে।

Tattoo Removal: শরীরের ফাঁকে উল্কির উঁকি? এই একটা কারণেই আটকে যেতে পারে চাকরি... বাড়ছে ট্যাটু তোলার প্রবণতা

Follow Us

আহমেদাবাদ: এক সময় শরীরের কোনও একটা অংশ থেকে উঁকি মারত উল্কি। কিন্তু এখন সে দিন বদলেছে। শরীরের একাধিক জায়গা ‘ইঙ্কিড’। ভোল বদলেছে ট্যাটু। সমস্ত প্রজন্মই এখনই ট্যাটুর প্রতি ঝোঁকে। কিন্তু ইদানিং ট্যাটু তোলানোর প্রবণতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে গত ১১ বছরে ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষ শুধু ট্যাটু তুলতে গিয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ট্যাটু করানো যতটা যন্ত্রণাদায়ক, তার থেকে অনেক বেশি কষ্ট সেই ট্যাটু তুলতে। সঙ্গে আবার মোটা টাকাও গুনতে হয় এই ট্যাটু তোলার জন্য।

তা হলে কষ্ট করে ট্যাটু বানিয়ে কেনই বা তুলতে চাওয়া? কারণ, সকলের তো আর দীপিকা পাডুকোনের মতো কপাল নয়। ঘাড়ের উপর আঁকা ‘আরকে’ (রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেম করার সময় এই ট্যাটু বানিয়েছিলেন দীপিকা) পরে ফুল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পেশাগত কারণে অনেককেই সেই ট্যাটু তুলে ফেলতে হয়। সশস্ত্র বাহিনী, প্যারামিলিটারি, সিভিল সার্ভিস, অ্যাভিয়েশনের মতো এমন অনেক ক্ষেত্রেই এই ট্যাটু চলে না। ফলে অনেককেই ট্যাটু তুলে ফেলতে হয়। এ ছাড়া বহুদিনের ট্যাটুর রঙ অনেক সময় ফিকে হয়ে যায়। তার জন্যও অনেকে তা তুলে ফেলেন।

নিউজ ১৮ ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৩৯৫ জন ট্যাটু তুলেছিলেন আহমেদাবাদের সেই হাসপাতালে। ২০১১ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০০তে। ২০১২ সালে ৯০০ হয়ে যায় সংখ্যাটা। তবে কোভিডের কারণে ২০২০-২০২১ সালে কিছুটা নেমেছিল সংখ্যাটা।

২০১৩ সালে ১ হাজার ৬১৭ জন

২০১৫ সালে ১ হাজার ৬১১ জন

২০১৬ সালে ৯৩৯ জন

২০১৭ সালে ৭৭৯ জন

২০১৮ সালে ৮১৬ জন

২০১৯ সালে ৯৬৬ জন

২০২০ সালে ১৭৩ জন

২০২১ সালে ২৫১ জন

এমনও হয়েছে ক্লাস এইটে কেউ হয়ত ৪ হাজার টাকা দিয়ে ট্যাটু করিয়েছিল। কিন্তু সেই ট্যাটু তুলতে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। মূলত লেজার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই শরীরের এই আঁকিবুকি মুছে ফেলা হয়। ট্যাটু তৈরি করতে সূঁচ যেহেতু ত্বকের অনেকগুলি স্তরই ছুঁয়ে যায়, লেজার প্রযুক্তিকেও ততটাই গভীরে ঢুকে রং ফিকে করতে হয়।

Next Article