বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশই এক আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ভারত এমন এক দেশ যেখানে রকেটগতিতে বিকাশ ও প্রগতি হচ্ছে। ভারতের এই সাফল্যের নেপথ্যে একটি বড় ভূমিকা রয়েছে ডিজিটাল ফিনান্স ও ফিনটেক সেক্টরের। যা ভারতের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে অনেকটা সাহায্য করেছে। পাশাপাশি সমবায় ক্ষেত্রে আমুলের মতো সংস্থাগুলির ভূমিকাও অপরিসীম, যা শুধু দেশের অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করেনি, সঙ্গে সঙ্গে কোটি কোটি দেশবাসীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছে।
যাঁরা এই সব ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা ভারতের আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন? দেশের এক নম্বর নিউজ় নেটওয়ার্ক টিভি নাইনের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে গ্লোবাল সামিটে আপনি পেয়ে যাবেন এই প্রশ্নের উত্তর। আমুলের এমডি জৈন মেহতা এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ভারত পে’র বর্তমান চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতির মাধ্যমে আলোকিত করে তুলবেন এই সামিটে।
টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ কনক্লেভ প্রথম বছরেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। আর এবার ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ গ্লোবাল সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণ নিয়ে হাজির টিভি নাইন নেটওয়ার্ক। রাজধানীতে আয়োজিত এই সামিটের মঞ্চকে আলোর ছটায় ভরিয়ে তুলতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট জনরাও উপস্থিত থাকবেন এই সামিটে। শিল্প ও বাণিজ্যের কথা বলতে গেলেও বিভিন্ন শিল্পপতি, বিভিন্ন সংস্থার সিইও ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকবেন এখানে।
আজকের দিনে আমুলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। জৈন মেহতা যখন সংস্থার এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন আমুলের আগামীর চিন্তাভাবনার কথা। জানিয়েছিলেন, সংস্থার মূল ব্যবসা দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি হলেও, সংস্থার বিকাশের জন্য তারা এবার নন-ডেয়ারি ব্যবসার দিকেও ঝুঁকতে চাইছেন।
আমুলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত জৈন মেহতা। ১৯৯১ সাল থেকে। সংস্থায় ব্র্যান্ড ম্যানেজার, গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর থেকে আমুল ডেয়ারির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবেও কাজ করেছেন। টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ সামিটের অনুষ্ঠানে জৈন মেহতা ভারতের স্টার্টআপের কীভাবে আরও বিকাশ করা যায়, সে বিষয়ে আলোকপাত করবেন।
একসময়ে দেশের পঞ্চম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক ছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। কিন্তু যখন সেই ব্যাঙ্ক এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল, তখন সেই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে ইয়েস ব্যাঙ্ককে উদ্ধার করার গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসবিআই-এর রজনীশ কুমারকে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং তাতে কাজও হয়েছিল। এসবিআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এখন তিনি ভারত পে’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আপনি আজ যে YONO অ্যাপ ব্যবহার করেন, সেটিও তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’-র মঞ্চে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বিকাশ ও ফিনটেক সেক্টরের অনবদ্য বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরবেন রজনীশ কুমার।