অযোধ্যা: ২০২৩-এর মধ্যে রাম মন্দির সাধারণ মানুষের জন্য খুলে যাবে রাম মন্দির (Ram Mandir)। ট্রাস্টের তরফ থেকে এ কথা আগেই জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তই বহাল রাখল রাম মন্দির ট্রাস্ট। কিছুদিন আগেই এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বামী গোবিন্দদেব গিরি, নৃপেন্দ্র মিশ্র, বিমলেন্দ্র প্রতাপ মিশ্র, সহ ট্রাস্টের একাধিক সদস্য। হাজির ছিলেন টাটা কনসাল্টি ইঞ্জিনিয়ার ও লারসেন অ্যান্ড টারবোর মতো সংস্থার প্রতিনিধিরা, যারা রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।
১৮ হাজার ৫০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ভিত। ১২ মিটার গভীর পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সেই গভীরতা পূরণ করা হয়েছে কংক্রিটে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ ভাবেই মজবুত জরা হচ্ছে রাম মন্দিরের ভিত। সেই কাজ শেষ করা হয়েছে রেকর্ড সময়ে।
যে কংক্রিটের লেয়ারে সেই গভীরতা পূরণ করা হয়েছে তাকে বলা হচ্ছে ‘ইঞ্জিনিয়ারড ফিল।’ এরকম ৪৮টি লেয়ার সাজানো হচ্ছে পরপর। প্রত্যেকটি লেয়ার ২৫০ মিলিমিটার পুরু। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট লেয়ার হবে ৪৪.৫ লক্ষ ঘন ফুট। নির্মাণ যাতে পোক্ত হয়, তার দয়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুর্কির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে। ভূমিকম্পেও যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পরীক্ষা করেছে রুর্কির এই ইনস্টিটিউট। সেই গভীরতা পূরণের পর তার ওপর তৈরি হবে আরও একটি নির্মাণ। সেটি নির্মিত হবে ৩ লক্ষ ঘন ফুট কংক্রিটে। চেন্নাই আইআইটির তরফে সেই ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর তৈরি হবে আসল নির্মাণ।
খুব দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহ যে জায়গায় তৈরি করা হবে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে বালি, পাথর পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ফলে কাজে বাধা আসে। গত মার্চ মাসে তাই নির্মাণকাজ শুরু করার চেষ্টা হলেও, তা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে দেরি হলেও ভিত যাতে পোক্ত হয় সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ৪০০ ফুট লম্বা, ৩০০ ফুট চওড়া এলাকা জুড়ে ভিত তৈরি করা হচ্ছে। ভিত্তিপ্রস্তর আরও দৃঢ় করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পাথরের গুঁড়ো, বিভিন্ন ধরনের পাথর, সিমেন্ট ও জলের মিশ্রণ।
বহু বছরের বিতর্ক কাটিয়ে রাম মন্দিরের ভূমিপূজা হয় গত বছর। তারপর থেকে পুরোদমে চলছে কাজ। কবে খোলা হবে, রাম মন্দির, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন ভক্তরা। সূত্রের খবর, ২০২৫-এর মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে এই মন্দিরের। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার এই জমি নিয়ে বিতর্ক ছিল অনেক বছর ধরে। দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চলার পর রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই শুরু হয় কাজ।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র তোলপাড় করেও খোঁজ মিলছে না ২ জনের, ঘটনাস্থান পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী