প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই শহরের কলেজে পড়তে আসে পারুল (নাম পরিবর্তিত)। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই কলেজের পাশাপাশি শহরে দুটো টিউশন জোগাড় করেছে। লেখাপড়ার খরচা জোগানোর জন্যই পারুলের এই জীবনযুদ্ধ। এ রকমই বর্ষার এক বিকালে কলেজ শেষ করে টিউশন পড়াতে গিয়েছিল সে। বর্ষার ঘন কালো মেঘ বিকাল সাড়ে ৫টাতেই নামিয়ে এনেছিল সন্ধ্যা। টিউশন পড়িয়ে গলির রাস্তা ধরে যেতে হয় পারুলকে। সে দিন অন্ধকার গলি দিয়ে ফেরার সময় বিপদ ওঁৎ পেতে বসেছিল। অচেনা শহরে সম্পূর্ণ অচেনাদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল পারুলকে। বাড়ির লোক ঘটনার কথা চেপে যেতে চাইলেও, সে চেয়েছিল দোষীরা শাস্তি পাক। তাই বাড়ির লোকের অমতেই স্থানীয় থানায় গিয়েছিল অভিযোগ জানাতে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছিল শহরের থানা এলাকায়। তাঁর বাড়ি ছিল অন্য থানার অধীনস্ত। সেই থানা নেয়নি পারুলের অভিযোগ। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানকার থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কলেজে ভর্তির ৬ মাসও হয়নি তখনও। নতুন শহরের আঁটঘাট জানা ছিল না প্রথম বর্ষের ছাত্রীর। তার উপর...