Old Parliament Building: আজ থেকে মোদীরা বসছেন নয়া সংসদ ভবনে, কী হবে পুরনো সদনের?

Narendra Modi: এটিকে আর শুধু পুরনো সংসদ ভবন হিসেবে দেখতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের গঠনে পুরনো সংসদ ভবনের অপরিসীম গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এই পুরনো সংসদ ভবনের নতুন নামকরণও করেছেন নমো। এবার থেকে পুরনো সংসদ ভবনের নাম ‘সংবিধান সদন’।

Old Parliament Building: আজ থেকে মোদীরা বসছেন নয়া সংসদ ভবনে, কী হবে পুরনো সদনের?
পুরনো সংসদ ভবন এবার থেকে 'সংবিধান সদন'Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2023 | 2:16 PM

নয়া দিল্লি: বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারত। আর সংসদ ভবন হল তার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পেরিয়ে এসে এক নতুন যুগের সূচনা হল। লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষকেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বহু চর্চিত নয়া সংসদ ভবনে। পুরাতন সংসদ ভবন ব্রিটিশ আমলে তৈরি হলেও, এই পুরনো সংসদ ভবনের সঙ্গে ভারতীয় গণতন্ত্রের বহু অধ্যায় জড়িয়ে রয়েছে। তাই এটিকে আর শুধু পুরনো সংসদ ভবন হিসেবে দেখতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের গঠনে পুরনো সংসদ ভবনের অপরিসীম গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এই পুরনো সংসদ ভবনের নতুন নামকরণও করেছেন নমো। এবার থেকে পুরনো সংসদ ভবনের নাম ‘সংবিধান সদন’।

Old Parliament

বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই সংসদ ভবন

মঙ্গলবার পুরনো সংসদ ভবন থেকে শেষবার বক্তব্য রাখার প্রধানমন্ত্রী নমো বলেছেন, ‘এই সদনের গৌরব যেন কখনোই কমে না যায়।’ আর সেই কারণেই এই পুরনো সংসদ ভবনকে ‘সংবিধান সদন’ হিসেবে নামাঙ্কিত করতে চান তিনি। নমোর কথায়, এই ভবনে বিভিন্ন সময়ে বহু জ্ঞানী-গুণী মানুষজন বসেছেন। এই পুরনো সংসদ ভবনের নাম ‘সংবিধান সদন’ করা হলে, সেই জ্ঞানী-গুণী মানুষদের অবদানের কথাও স্মরণ করা হবে। আর এই পদক্ষেপ দেশের আগামী প্রজন্মের কাছে এক উপহারের মতো হবে বলেই মনে করছেন মোদী।

Old Parliament Building

ব্রিটিশ আমলে তৈরি হলেও, ভারতীয় গণতন্ত্রে এই সংসদ ভবনের গুরুত্ব অপরিসীম

আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য শেষে সব সাংসদরা পুরনো সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে নয়া সংসদ ভবনের উদ্দেশে যান। এবার থেকে অধিবেশন বসবে বহু চর্চিত নয়া সংসদ ভবনেই। আর পুরনো সংসদ ভবন? সেটার কী হবে?

Old Parliament Building and New Parliament Building

পাখির চোখে পুরাতন সংসদ ভবন ও নয়া সংসদ ভবন

ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক স্যর এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বার্ট বেকার এই ঐতিহাসিক সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন। স্বাধীনতার আগে থেকেই অনেক ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে ১৯২৭ সালে তৈরি হওয়া এই ভবনটি। ৯৬ বছর ধরে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী থাকা, স্বাধীনতার সাক্ষী থাকা এই ভবনটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এটিকে নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। সংসদের অন্যান্য কাজকর্মের জন্য এটিকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে খবর। অপর একটি সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, এই পুরনো সংসদ ভবন বা ‘সংবিধান সদন’-এর একটি অংশকে সংগ্রহশালায় পরিণত করা হতে পারে। সূত্রের দাবি, যেহেতু এই পুরনো সংসদ ভবন দেশের এক প্রত্নতাত্ত্বিক অ্যাসেট, তাই এই ঐতিহাসিক ভবনকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হবে।