নয়া দিল্লি: বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দার ঢেউ আছড়ে পড়েছে। পাকিস্তানের আর্থিক সংকট তো চরমে উঠেছে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার আঁচ আসতে শুরু করেছে ভারতেও। ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। এই পরিস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই বাজেটের প্রভাব কী বিশ্ববাজারেও পড়বে? মোদী সরকারের বাজেটের প্রভাব কী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের অর্থনীতিতে পড়বে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক করছে বিশ্ব অর্থনীতির অন্দরে।
মঙ্গলবার, বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টত বলেছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত ভারতের বাজেটের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। তাঁর সেই দাবি একেবারে অমূলক নয়। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে এবার বাজেটে নরেন্দ্র মোদী নতুন কী কী রাখছেন, প্রতিবেশী দেশ-সহ গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ থেকে রক্ষা পেতে কী টোটকা নিচ্ছেন, সে দিকে দেশবাসীর পাশাপাশি গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে।
বর্তমানে ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের দিকে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। ফলে মোদী সরকারের বাজেটে প্রতিবেশী দেশের জন্য বিশেষ কিছু থাকছে কিনা, সেদিকে নজর সকলেরই। কেননা আপাতদৃষ্টিতে শত্রু দেশ হলেও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। মোদী সরকারের বাজেটের উপর দুই দেশের পণ্য আমদানি, রফতানি বরাদ্দের বিষয়টিও অনেকাংশে নির্ভর করছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মোদী সরকার বাজেটে বিশেষ কোনও বরাদ্দ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।