নয়া দিল্লি : লাগাম ছাড়াচ্ছে আটার দাম। এবার সেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল ভারত। দেশের বহু মানুষের প্রতিদিনের খাবারে থাকে আটা। তাই আটার দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছিল মধ্যবিত্তের। রুটি, পাঁউরুটি, বিস্কুট থেকে শুরু করেই অনেক খাবারেই উপাদান হিসেবে থাকে আটা। তাই দাম কমাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার কেন্দ্রের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত গম রফতানি করবে না ভারত। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দেশের খাদ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
তবে রফতানি যে একেবারে বন্ধ থাকবে তা নয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে রফতানিতে ছাড়ও দেওয়া হবে। অন্য কোনও দেশের তরফে যদি অনুরোধ করা হয়, তাদের খাদ্য সুরক্ষার জন্য যদি সত্যিই গমের প্রয়োজন থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকার রফতানি করার কথা বিবেচনা করবে।
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভোজ্য তেল সহ অনেক জিনিসেরই দাম বেড়েছে, তার জেরে মধ্যবিত্তের কার্যত কালঘাম ছুটেছে। আর তাতেই নতুন সংযোজন এই আটার দাম। গত ১২ বছরের মধ্য়ে প্রথমবার একধাক্কায় এতটা বেড়েছে আটার দাম। এপ্রিলে দাম বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা ৩৮ পয়সা প্রতি কেজি। ২০১০-র জানুয়ারি মাসের পর থেকে এত বেশি দাম বাড়তে দেখা যায়নি কখনও।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতে এবার আটার উৎপাদন অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই কম। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আটার চাহিদা বেড়েছে বিশ্ব জুড়ে। সেই কারণেই ভারতের বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই রফতানি বন্ধ করে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে ভারত। তাহলে চাহিদা কিছুটা কমতে পারে।
২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত ভারত আটা রফতানি করেছে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। যেহেতু বিশ্বের অন্যান্য দেশে আটার জোগান কমে গিয়েছে, তাই আগের থেকে বেশি আটা রফতানি করতে হয়েছে ভারতকে। রফতানি বন্ধ করার পাশাপাশি আটা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।