Covid deaths: কারা করোনায় মৃত, কারা নয়? নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 12, 2021 | 9:06 AM

Covid deaths: আত্মহত্যা বা খুন হলে করোনা আক্রান্ত থাকলেও 'করোনায় মৃত' বলে উল্লেখ করা হবে না। নয়া গাইডলাইনে জানাল কেন্দ্র।

Covid deaths: কারা করোনায় মৃত, কারা নয়? নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র
কোভিডে মৃত কারা, নির্দিষ্ট করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: কোভিডে মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে কোভিডে মৃত্যু সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) যৌথভাবে এই গাইডলাইন তৈরি করেছে। করোনায় মৃত্যু হলে প্রমাণ হিসেবে নথি দেখানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই নয়া নির্দেশিকায়।

সুপ্রিম কোর্টে যে গাইডলাইন জমা দিয়েছে কেন্দ্র তাতে বলা হয়েছে, র‍্যাপিড আ্যান্টিজেন টেস্ট, মলিকিউলার টেস্ট ও আরটি পিসিআর টেস্টের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হবে মৃত করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না। যদি এর মধ্যে কোনও পরীক্ষাই না হয়ে থাকে তাহলে কোনও হাসপাতাল থেকে করোনা হওয়ার প্রমাণ রাখতে হবে। কোনও চিকিৎসকও যদি করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন, সেটাও প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

আগে আইসিএমআর-এর গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল যে মেডিক্যাল পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে ২৫ দিনের মধ্যে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে তা করোনায় মৃত্যু বলে চিহ্নিত হবে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হলেই তা কোভিডে মৃত্যু বলে চিহ্নিত করা হবে। হাসপাতাল বা কোনও চিকিৎসালয়ের বাইরে তথা বাড়িতে মৃত্যু হলেও তা কোভিডে মৃত্যু হিসেবেই চিহ্নিত হবে।

পাশাপাশি, গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে যে, যদি করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট আসার আগেই বাড়িতে বা হাসপাতালে কারও মৃত্যু হয়, তাহলে ডেথ সার্টিফিকেট থাকলেও করোনায় মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও যদি কারও মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয় বা কেউ আত্মঘাতী হন অথবা কাউকে হত্যা করা হয়, তাহলে তা করোনায় মৃত্যু বলে চিহ্নিত হবে না।

করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত গাইডলাইন কেন্দ্রকে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার শুনাননি ছিল। সেখানে গাইডলাইন কেন তৈরি হয়নি, সেই উত্তর চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। জুন মাসেই গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। করোনায় মৃত্যু হলে যাতে পরিবারের ক্ষতিপূরণ পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পুরোপুরি। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৭৬ জন। বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ৩০৮ জনের মৃত্যুর হিসেব পাওয়া গিয়েছে ২৪ ঘণ্টায়, সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ১৯৮ জন। কেরলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ১৭৭ জন।

আরও পড়ুন: Kozhikode Crash: পাইলটের গাফিলতিতেই কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা, প্রকাশ পেল ২৫৭ পাতার রিপোর্টে

Next Article