নয়া দিল্লি: শনিবার ভোটপর্ব শেষ হতেই সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে, পালাবদল হতে চলেছে হরিয়ানায়। মোটামুটি স্তরে অধিকাংশ মূল্যায়ন সংস্থার দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে এক দশক পর গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষায় ভূস্বর্গ স্পষ্ট রায় দিতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বুথ ফেরত সংস্থাগুলির আভাস। যদিও বিজেপির দাবি, হরিয়ানায় সরকার তারা ধরে রাখছে এবং জম্মু-কাশ্মীর নিজেদের দখলে থাকবে। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবিরও। সূত্রের খবর, হরিয়ানায় ইতিমধ্যে কেবিনেট গঠন করে ফেলেছে কংগ্রেস। যদিও ৮ অক্টোবরই জানা যাবে, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর কার হতে চলেছে।
দশ বছর ধরে হরিয়ানায় ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। স্বভাবতই একটা সরকার বিরোধী হাওয়া কাজ করছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক কারবারিরা। অন্যদিকে, এখনও ধিক ধিক জ্বলছে কৃষক আন্দোলনের ক্ষোভ। এর মধ্যেও নানা ভাবে বিজেপি জমি ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। গত মার্চে প্রায় এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদে থাকা সত্তর বছর বয়সী মনোহর লাল খাট্টারকে সরিয়েছে বিজেপি। পরিবর্তে নতুন মুখ এবং তুলনামূলকভাবে কম বয়সী মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো হয়েছে। নবাব সিং সায়নি কতটা লড়াই দিতে পারলেন, সেটা জানা যাবে ৮ অক্টোবর। তবে নিঃসন্দেহে বুথ ফেরত সমীক্ষার আভাস কপালে ঘাম তৈরি করেছে নবাব সিং সায়নির। এখনও সায়নির গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর, হাওয়া বিজেপির দিকেই। তিনি জানান, তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসছে বিজেপি এবং তাঁর কেন্দ্র লাডওয়ায় বড় ব্যবধানে জিতছেন।
কিন্তু কংগ্রেস, শুধু মন্ত্রিসভা গঠন নয় মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছে, তা নিয়ে অন্দরে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। ফের কি ভূপেন্দ্র সিং হুডা হবেন না নতুন কেউ? এ নিয়ে ভূপেন্দ্র সিং স্পষ্ট জানান, সিদ্ধান্ত নেবে হাই কম্যান্ড। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ভূপেন্দ্র সিং হুড্ডা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভেসে আসছে রণদীপ সিং সূরজেওয়ালা এবং সেলজা কুমারীর। সাংবাদ মাধ্যমকে ভূপেন্দ্র সিংয়ের যদিও জবাব, এটা গণতন্ত্র। এখানে যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। আপনিও পারেন। তবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং হাইকম্যান্ডই এই সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য বুথ ফেরত সমীক্ষায় অধিকাংশ মূল্যায়ন সংস্থা কংগ্রেসকেই এগিয়ে রেখেছে হরিয়ানায়। ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারে কংগ্রেস। ৫০ বা তার বেশি আসন পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ২০ থেকে ২৮ আসন। অন্যদিকে, জম্মু এবং কাশ্মীরে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা। পিডিপি এবং নির্দল নির্ণায়ক শক্তি হতে পারে সরকার গঠনে।