বিশাখাপত্তনম: ১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোট। এই জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তেলেগু দেশম পার্টি বা টিডিপি দলের প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। দীর্ঘদিন জোটের আহ্বায়ক পদেও ছিলেন। ২০১৮ সালে অন্ধ্র প্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জোট ত্যাগ করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। জোট ত্যাগ করে তাঁর লাভ বিশেষ হয়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা আর কয়েক মাস দূরে। নির্বাচনের আগে কি ফের এনডিএ শিবিরে ফিরবে টিডিপি? কী বললেন চন্দ্রবাবু?
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মূলতঃ দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে ভারতের প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল। একদিকে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন পুরোনো জোট ‘এনডিএ’। জোট পুরোনো হলেও, নির্বাচনের আগে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন শক্তি। সব মিলিয়ে এনডিএ জোটের দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮। উল্টোদিকে, বাম, কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল-সহ ২৬ বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। ইন্ডিয়া জোট গঠন হওয়ার পর থেকে এনডিএ-র পুরোনো সঙ্গীদের জোটে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই চিরাগ পাসওয়ানকে এনডিএ জোটে ফিরতে দেখা গিয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, নির্বাচনের আগে পুরোনো শিবিরে ফিরতে পারে তেলেগু দেশম পার্টিও।
মঙ্গলবার (১৫ অগস্ট), সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি সঠিক সময়ে জানাবেন। চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “এটা এনডিএ সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। এই বিষয়ে আমি সঠিক সময়ে কথা বলব। ২০২৪-এ জাতীয় রাজনীতিতে আমার ভূমিকা অত্যন্ত স্পষ্ট। আমার অগ্রাধিকার হল অন্ধ্রপ্রদেশ। এটাই আমার সবথেকে বড় অ্যাজেন্ডা। রাজ্যের পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
বস্তুত, রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলি দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেলেও, অন্ধ্র প্রদেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত, এটি একমাত্র অবিজেপি দল শাসিত রাজ্য, যেখানে শাসক বা বিরোধী কোনও পক্ষই ইন্ডিয়া বা এনডিএ জোটে নেই। শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির নেতা জনমমোহন রেড্ডির জাতীয় রাজনীতি নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। চন্দ্রবাবুও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জাতীয় রাজনীতি নিয়েতিনি আর ভাবিত নন। ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এবং টিডিপি – দুই দলের কারও ইন্ডিয়া জোটে থাকার সম্ভাবনা নেই। দুই দলই বিজেপির গুডবুকে থাকতে আগ্রহী। অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫টি লোকসভা আসন রয়েছে। নির্বাচনের পর, এই ২৫ আসনের কটি কোন শিবিরে যায়, সেটাই এখন দেখার।