নয়া দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপরে বেজায় চটে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে হঠাৎই মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) নাম প্রস্তাব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবে সমর্থনও জানান দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আর এতেই রাগ নীতীশের। সূত্রের খবর, মমতার এই নাম প্রস্তাবের পরই নাকি রেগে বৈঠক ছেড়ে চলে যান নীতীশ। এরপর থেকেই জল্পনা, ইন্ডিয়া জোটে (INDIA Alliance) কী থাকবেন নীতীশ?
শুক্রবার জেডি(ইউ)-র রাষ্ট্রীয় কার্যকারণী ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের বৈঠক রয়েছে দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই আজ দিল্লিতে এসে পৌঁছন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জেডি(ইউ)-র প্রচারের স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটে জেডি(ইউ)-র কী অবস্থান হবে, তা নিয়েও বৈঠক হবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠক ছিল। এই বৈঠকেই জোটের কনভেনার হিসাবে নীতীশ কুমারের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল। সেই ঘোষণা তো হয়ইনি, উল্টে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাহুল গান্ধীর নাম যাতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে প্রস্তাব না করা হয়, সেই পথ আটকাতেই তিনি খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চালেই বেজায় চটে যান বিহারের দুই নেতা নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদব। সূত্রের খবর, তাঁরা জোটের বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়া জোটে নীতীশ কুমারকে কনভেনার না করার জন্য ক্ষুব্ধ জেডিইউ-র একাংশ। আগামিকালের বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে যে নীতীশ কুমারের দল আর ইন্ডিয়া জোটে থাকবে কি না। থাকলেও জোটে তাদের অবস্থান কী হবে।
সূত্রের খবর, আজই দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এছাড়া কয়েকজন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন নীতীশ কুমার।