লখনউ: ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল, শাশুড়ি বলেছিলেন, ‘বৌমা নয়, মেয়ে আনছি বাড়িতে’। আদর-ভালবাসায় আপ্লুত হয়েছিলেন যুবতী, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মনে যে এই ফন্দি রয়েছে, তা আন্দাজও করতে পারেননি। স্বামী তো শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করেনই, পাশাপাশি শাশুড়িও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চান! অস্বীকার করতেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। মারধর চলে। এমনকী, যুবতীর শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। এক যুবতী তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হেনস্থা, শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। সম্প্রতিই তিনি পুলিশে এফআইআর করেন। অভিযোগে জানান, শাশুড়ি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে জোরাজুরি করতেন। অস্বীকার করতেই তাঁর হাতে ব্লেড চালায়, ফালা ফালা করে দেওয়া হয়। সেলাই করাতে হয়।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে গাজিপুর জেলার বাসিন্দা অলোক উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই যুবতীর। প্রথম কিছুদিন সব ঠিক থাকলেও, এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। স্বামী যেমন যৌন অত্যাচার করতেন, তেমনই শাশুড়িও জোরাজুরি করতেন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। ওই যুবতী অস্বীকার করতেই তাঁর হাতে ব্লেড চালান শাশুড়ি। এত গভীর ক্ষত তৈরি হয় যে সেলাই করাতে হয়।
স্বামী ও শাশুড়িই নয়, ননদও অত্যাচার করত বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী। তাঁর সমস্ত পোশাক কেড়ে নিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পণের জন্যও চাপ দেওয়া হয়। যুবতী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর অত্যাচার আরও বাড়ে। স্বামী শিশুটির পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে, মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রতিবেশীরা কোনওমতে বুঝিয়ে ওই যুবতীকে বাড়িতে ফেরত পাঠান। কয়েকদিন বাদে ওই যুবতীর বাবা এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায়।
চলতি মাসের শুরুতে শ্বশুরবাড়ির তরফে ফের যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, তারা সব মিটমাট করে নিতে রাজি। কিন্তু গত ৭ জুন তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে কথা বলতে গেলে, ফের অশান্তি হয়। এরপরই তারা পুলিশে অভিযোগ জানান।