AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Extramarital affairs: প্রতিবেশীর সঙ্গে মহিলার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখে ফেলল মেয়ে, তারপরই হাড়হিম ঘটনা…

Extramarital affairs: গত ২৮ জুলাই বিক্রমের স্ত্রী সোনি দেবী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। জানান, তাঁর স্বামী ২ দিন ধরে নিখোঁজ। এর ৩ দিন পর বছর পঁয়ত্রিশের সোনি দেবী আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর ২০২৫ সালের মার্চে প্রতিবেশী রবীন্দ্র তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। এবং ভিডিয়ো তুলে রেখেছেন।

Extramarital affairs: প্রতিবেশীর সঙ্গে মহিলার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখে ফেলল মেয়ে, তারপরই হাড়হিম ঘটনা...
প্রতীকী ছবিImage Credit: Meta AI
| Updated on: Aug 05, 2025 | 3:30 AM
Share

গুরুগ্রাম: প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখে ফেলেছিল মেয়ে। স্বামীকে জানিয়েও দিয়েছিল। তাই স্বামীকে মেরে পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। স্বামীকে খুনের পর নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন ওই মহিলা। এমনকি, নিজেকে বাঁচাতে প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ ওই মহিলা, তাঁর প্রতিবেশী এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামের।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিক্রম। বছর সাঁইত্রিশের বিক্রমের আদি বাড়ি বিহারের ওয়াদায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গুরুগ্রামের উদ্যোগ বিহারে থাকতেন।

গত ২৮ জুলাই বিক্রমের স্ত্রী সোনি দেবী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। জানান, তাঁর স্বামী ২ দিন ধরে নিখোঁজ। এর ৩ দিন পর বছর পঁয়ত্রিশের সোনি দেবী আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর ২০২৫ সালের মার্চে প্রতিবেশী রবীন্দ্র তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। এবং ভিডিয়ো তুলে রেখেছেন। ঘটনার কথা কাউকে বললে ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রবীন্দ্র।

তদন্তে নেমে রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। বিক্রমকে খুনের কথা স্বীকার করেন রবীন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে রবীন্দ্র স্বীকার করেন যে সোনি দেবীর সঙ্গে তাঁর প্রায় এক বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন রবীন্দ্র। রবীন্দ্রর ফোনে সেই ভিডিয়ো একদিন দেখে ফেলেন সোনি দেবীর মেয়ে। সে তার বাবাকে সব জানায়।

বিক্রম কোনও পদক্ষেপ করার আগেই তাঁকে খুনের ছক কষেন সোনি দেবী ও রবীন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, ইউটিউব ও ইন্টারনেটে খুন করে দেহ লোপাটের নানা পদ্ধতি দেখেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ জুলাই কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিক্রমকে গাড়িতে তোলেন রবীন্দ্র ও তাঁর সঙ্গীরা। তারপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মহম্মদপুর ঝারসা গ্রামের কাছে মাটিতে দেহ পুঁতে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সানতরপল নামে রবীন্দ্রর এক কাকাও এই খুনে জড়িত। তিনিই গর্ত খুঁড়ে রেখেছিলেন। স্বামীকে খুন করে গর্তে পুঁতে দেওয়ার সময় ফোনে নিরন্তর রবীন্দ্রর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সোনি দেবী। পুলিশকে ভুলপথে চালিত করতেই প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তিনি।