Shot dead: বাড়িতে পড়ে মহিলা ও ৩ সন্তানের গুলিবিদ্ধ দেহ, স্বামীর খোঁজ করতে গিয়েই সামনে এল বড় ঘটনা
Shot dead: পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি দেখে মনে হচ্ছে, ঘুমের মধ্যে তাঁদের গুলি করা হয়েছে। রাজেন্দ্র দেশি মদের ব্যবসা করতেন। তাঁর ৮-১০টি বাড়ি রয়েছে। সেখানে ভাড়াটেরা থাকেন। মাসে লক্ষাধিক টাকা শুধু ভাড়া থেকে আয় করতেন তিনি।
বারাণসী: বাড়িতে পড়ে মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ। কিছুটা দূরেই পড়ে রয়েছে তাঁর তিন সন্তানের দেহ। কিন্তু, ওই মহিলার স্বামীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় হইচই পড়ে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। পুলিশ সন্দেহ করে, পরিবারের চার জনকে খুনে হাত রয়েছে মহিলার স্বামীর। কিন্তু, কয়েক ঘণ্টা পরই ওই মহিলার স্বামীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় একটি নির্মাণস্থল থেকে। পুলিশের ধারণা, রাজেন্দ্র গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
বারাণসীর ভাদাইনি এলাকায় বাড়ি রাজেন্দ্র গুপ্তার। তাঁর বাড়িতে ২০টি পরিবার ভাড়াটে হিসেবে থাকে। এদিন সকাল থেকে রাজেন্দ্রর পরিবারের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর বাড়ির পরিচারিকা রুমে ঢুকে চারজনের মৃতদেহ দেখতে পান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন রাজেন্দ্রর স্ত্রী নীতু (৪৫), দুই পুত্র নবনেন্দ্র (২৫) ও শুভেন্দ্র গুপ্তা (১৫)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজেন্দ্রর কন্যা গৌরাঙ্গীর(১৬) দেহও উদ্ধার হয়। কিন্তু, বাড়ির মধ্যে রাজেন্দ্র ছিলেন না। কয়েকঘণ্টা পর তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, পরিবারের সদস্যদের গুলি করে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন রাজেন্দ্র।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি দেখে মনে হচ্ছে, ঘুমের মধ্যে তাঁদের গুলি করা হয়েছে। রাজেন্দ্র দেশি মদের ব্যবসা করতেন। তাঁর ৮-১০টি বাড়ি রয়েছে। সেখানে ভাড়াটেরা থাকেন। মাসে লক্ষাধিক টাকা শুধু ভাড়া থেকে আয় করতেন তিনি।
এই খবরটিও পড়ুন
রাজেন্দ্রর বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। নীতু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রীতে প্রায় সময় ঝগড়া হত বল প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। গত এক বছর অন্য জায়গায় থাকতেন রাজেন্দ্র। দীপাবলির সময় বাড়িতে এসেছিলেন। আরও একটি রিপোর্ট বলছে, এক তান্ত্রিকের সঙ্গে খুব মেলামেশা শুরু করেছিলেন রাজেন্দ্র। তাঁর কথাতেই পরিবারের সদস্যদের খুন করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবদিক খতিয়ে দেখছে।