বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর এক রেলস্টেশনে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার পচা গলা দেহ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে যশবন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই ড্রামটি চোখে পড়েছিল সাফাই কর্মীদের। ড্রামটি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তাঁরাই খবর দিয়েছিলেন রেলওয়ে পুলিশকে। ড্রামটি কাপড়চোপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তার উপরে বসানো ছিল তার ঢাকনাটি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সূত্রের সন্ধানে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নিহত মহিলার বয়স ২০-র কোঠায় বলে জানা গিয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বেঙ্গালুরু দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ে বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার, কুসুম হরিপ্রসাদ বলেছেন, “বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাফাই কর্মীরা আজ স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা একটি ড্রামের মধ্যে একটি পচনশীল দেহ খুঁজে পেয়েছেন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেছে এবং তদন্ত চলছে।” এই ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা দয়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
TV9-কে বেঙ্গালুরু নগর পুলিশ বিভাগের এক সূত্র জানিয়েছে, মৃতদেহটি একটি প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে মুড়িয়ে ড্রামটির ভিতরে রাখা ছিল। পচা দুর্গন্ধ পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ড্রামটি পরীক্ষা করেছিলেন। দেহটি ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য রামাইয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহটিতে যেভাবে পচন ধরেছে, তাতে অন্তত পাঁচ দিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর তারা মনে করছে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর দেহটি পচতে শুরু করলে স্টেশনে এসে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে তবেই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশের সূত্রটি।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই বেঙ্গালুরুর স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া টার্মিনালে একটি ট্রেনের আসনের নীচে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। রেল কর্তারা জানিয়েছিলেন, দেহটি যাত্রীদের সাধারণ মালপত্রের মতো একটি হলুদ রঙের ট্রলি ব্যাগে রাখা ছিল। ট্রলি ব্যাগটি ওই আসনের নীচে রাখা ছিল। প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে পুলিশ ওই ঘটনার বিষয়ে একটি হত্যার মামলা নথিভুক্ত করেছিল। ওই ক্ষেত্রেও পুলিশ জানিয়েছিল, সম্ভবত তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার পরিচয় এবং কী উদ্দেশ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেনি।