নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ, গুরুগ্রামের ইফকো চকের কাছে, রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে একটি সন্দেহজনক স্যুটকেস দেখতে পেয়েছিলেন এক অটোরিকশা চালক। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন তিনি। সেই সুটকেস খুলতেই মিলেছিল এক অজ্ঞাত মহিলার নগ্ন দেহ। বুধবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গুরুগ্রামের ডিসিপি (পশ্চিম) দীপক সাহারান বলেছেন, “ময়নাতদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ স্যুটকেসের ভিতরে ভরা হয়েছিল। আমাদের দল এই মামলার বিষয়ে তদন্ত করছে। ওই মহিলার দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে আমরা শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি পরিষ্কার ছবি পাব। নিহতের নিতম্বে কিছু দাগ পাওয়া গিয়েছে, যা পোড়ার দাগ বলে মনে হচ্ছে। তাঁর যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
জানা গিয়েছে, পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করা শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে ওই মহিলার বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। পুলিশের অনুমান, ওই মহিলাকে অন্য কোথাও হত্যা করা হয়েছিল। তারপর কোনও গাড়িতে করে ওই স্থানে দেহটি এনে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে গিয়েছে হত্যাকারীরা। প্রমাণ লোপাট করতে চেয়েছিল তারা, এমনই সন্দেহ পুলিশের।
ডিসিপি দীপক সাহারান আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়ার সময় দেহটি বেশ তাজা ছিল। কাজেই, হত্যাকাণ্ড দেহটি উদ্ধারের খুব বেশি আগে ঘটেনি বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহটি উদ্ধারের পরই স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই মামলার তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল এবং ফরেনসিক দল ওই এলাকা থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তদন্তে সহায়তা করার জন্য, অপরাধ দমন শাখা এবং সাইবার ক্রাইম সেলের সঙ্গেও পরামর্শ করা হবে।