Manipur: কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের দুই নির্যাতিতা
Manipur Violence: সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন করেছেন। তাঁদের পরিচয় যাতে গোপন রাখার অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, এই মামলার শুনানি মণিপুরের বদলে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছে কেন্দ্র।

নয়া দিল্লি: কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন মণিপুরের দুই নির্যাতিতা মহিলা। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে, যে মহিলাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে নগ্ন করে হাঁটাতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টকে এই মামলার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন। তাঁদের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এই ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া শুনবে। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, এই মামলার তদন্ত সিবিআই-কে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সরকারিভাবে এই ঘটনার বিষয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে ফাঁস হওয়া ঘটনার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে তা আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাটিকে ‘সাংবিধানিক অধিকার এবং মানবিকতার লঙ্ঘন’ বলেছিল শীর্ষ আদালত।
এদিকে, এই মামলার শুনানি মণিপুরের বদলে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছে কেন্দ্র। এদিন, সেই আবেদনেরও শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা একটি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, এই মামলার কাজ সময়মতো শেষ করতে, এর বিচারটি মণিপুরের বাইরে কোনও জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টকে এই মামলার বিচার ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করেছে কেন্দ্র। মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৮ জুলাই। তবে, ওইদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় অসুস্থ হয়ে পড়ায়, সেই আবেদনগুলির শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছিল।
বিভীষিকাময় এই ঘটনা ঘটেছিল ৪ মে, অর্থাৎ, মণিপুরে হিংসা শুরুর একদিন পরই। তবে, ১৯ জুলাই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা জানাজানি হয়। থাউবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানায় এই ঘটনার বিষয়ে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং হত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ২০ জুলাই পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিতারপতি চন্দ্রচূড় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিজেআই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সরকারের পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ না করে, আমরা করব।”
