নয়া দিল্লি: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আপাতত বাড়ছে না। মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার বিলটি তিন বছরেও লোকসভায় পাশ হল না। বলা যায়, একেবারে ‘ঠান্ডা ঘরে’ চলে গিয়েছে বিলটি। ফলে চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার সঙ্গেই ১৭ তম লোকসভার অধিবেশন শেষ হচ্ছে এবং বাতিল হতে চলেছে বিলটি।
বর্তমানে দেশে প্রচলিত বিবাহ আইন অনুযায়ী, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর ধার্য রয়েছে। কিন্তু, দেশে গর্ভপাত, প্রসূতির মৃত্যু, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর পরিসংখ্যান-সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার দাবি তোলে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এছাড়া এটা পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের সমানাধিকারকে মান্যতা দেবে বলেও দাবি জানান আবেদনকারীরা। শুধু মৌখিক দাবি নয়, বিবাহ আইন সংশোধন করে মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ বছর করার ব্যাপারে ২০২১ সালে লোকসভায় বিলও পেশ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই বিলটির নাম ছিল, ‘শিশু বিবাহ সংশোধনী বিল ২০২১’। তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বিলটি লোকসভায় পেশ করেন। তারপর বিলটি বিবেচনার জন্য সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিলটি আর সংসদে উত্থাপিত হয়নি। এবারে বাজেট অধিবেশনেও এই বিলের কথা তোলা হয়নি। আর এটাই ১৭ তম লোকসভার শেষ অধিবেশন। স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হতে চলেছে বিলটি।
শিশু বিবাহ সংশোধনী বিলের সঙ্গে আরও ৩টি বিল বাতিল হতে চলেছে। এগুলি হল, বৈদ্যুতিক বিল, আন্তঃরাজ্য নদীর জল বিরোধ বিল এবং সংবিধান সংশোধনী (৭৯ তম) বিল। বৈদ্যুতিক বিলটি ২০২২ সালে, আন্তঃরাজ্য নদীর জল বিরোধ বিলটি ২০১৯ সালে লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। আর সংবিধান সংশোধনী (৭৯ তম) বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয় ১৯৯২ সালে।