ইম্ফল: জল্পনা সকাল থেকেই ছিল। অবশেষে সামনে এল সত্যিটাও। বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। কার্ফু, ইন্টারনেট ব্য়ান থেকে সেনা মোতায়েন- সব রকমের প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দাবি তোলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার। আজ, শুক্রবার সকালেই জানা যায়, মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে আজই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন এন বীরেন সিং। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার খবর সামনে আসতেই বিপুল জনসমাগম হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে। সকলেই দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যেন তিনি ইস্তফা না দেন। এরপরই সামনে আসে একটি ছবি, যেখানে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া ইস্তফাপত্র। জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাই দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জনতার চাপে পড়ে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। ছিঁড়ে ফেলা হয় ইস্তফাপত্র। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলারা মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফাপত্র ছিঁড়ে ফেলছেন। তিনি রাজ্যপালের বাড়িতেও যেতে পারেননি।
আজ দুপুর তিনটে নাগাদ মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের। রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন বলেই ঠিক করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই খবর চাউর হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিপুল জনসমাগম হয়। রাজভবনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি রওনা দিলেও তা মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয়। রাজভবনের বাইরেই মহিলারা রাস্তা আটকে রাখেন। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রও ছিঁড়ে ফেলেন কয়েকজন মহিলা।
পিটিআই সূত্রে খবর, মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং নিজেই বলেছিলেন হয় তিনি ইস্তফা দেবেন, নয়তো কেন্দ্র নিজেই পদক্ষেপ করুক এবং ক্ষমতার দখল নিক। কিন্তু দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দেওয়ার বদলে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রীও জানান, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু জনগণের চাপে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করে নেন।