নয়া দিল্লি: আবারও করোনার (COVID-19) প্রকোপ। ফিরছে মাস্ক, আতঙ্ক বাড়ছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবেই দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০০০ পার করেছে। একাধিক ব্যক্তির শরীরে খোঁজ মিলেছে জেএন.১ (JN.1) স্ট্রেইনের। এবার করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (World Health Organization)। হু (WHO)-র তরফে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টকে “ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” বলে উল্লেখ করা হল। যদিও এই ভ্যারিয়েন্ট এখনও অবধি জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘ক্ষতিকর’ নয় বলেই জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি JN.1 ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে এখনও অবধি বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ভ্যারিয়েন্টের গতি-প্রকৃতির উপরে আপাতত কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এটিকে “ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
জানা গিয়েছে, করোনার বিএ২.৮৬ (BA.2.86)-র সাব ভ্যারিয়েন্টেরই একটি অংশ JN.1 ভ্যারিয়েন্ট। মার্কিন প্রশাসনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যে ভ্যাকসিন রয়েছে, তা JN.1 ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফেও চলতি মাসের শুরুতে জানানো হয়েছিল, নতুন সংক্রমণের ১৫ থেকে ২৯ শতাংশই করোনার JN.1 ভ্যারিয়েন্টের কারণে হচ্ছে। চিনেও করোনার একাধিক নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।