নয়া দিল্লি: নিছক একটা টুইট মনে হলেও গ্রেটা থুনবার্গের শেয়ার করা ‘টুলকিট’ নিয়ে একের পর এক তথ্য আসছে পুলিশের হাতে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দিশা রবি নামে বেঙ্গালুরুর এক ছাত্রীকে। এই টুলকিট-কাণ্ডে যে তথ্য মিলেছে, তাতে গভীর ষড়যন্ত্রের ছক দেখছে পুলিশ। ‘গুগল ডকুমেন্ট’কে হাতিয়ার করে ওই ছক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবারই নিকিতা জেকব ও শান্তনু নামে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘টাকার চেয়ে বেশি দামি গোপনীয়তা’, হোয়াটসঅ্যাপকে কড়া নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
এম ও ঢালিওয়াল, ‘পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন’ নামে এক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, যার সঙ্গে খালিস্তানি যোগ আছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল পুলিশ। তিনিই নাকি আইনজীবী নিকিতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পুনীত নামে এই ব্যক্তির মাধ্যমে। পুনীত নামে নিকিতার ওই সহকর্মী কানাডার নাগরিক বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। কৃষক আন্দোলনে ইন্ধন জোগাতে টুইটাতে ঝড় তুলতে হবে, এমনই আলোচন হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। এমনকি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই নাকি ‘জুম’ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন ঢালিওয়াল, দিশা ও নিকিতা।
দিন চারেক আগেই নিকিতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। তাঁর ব্যবহার করা মোবাইল, কম্পিউটার পরীক্ষা করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। তাঁকে দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলেও লাভ হয়নি। তাঁর খোঁজ পাওয়া যায় নি। এরপর সোমবার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখার দাবি, ‘টুলকিট’-এর অন্যতম সম্পাদক ছিলেন এই দিশা রবি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ‘পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন’ নামে খালিস্তানি মদতপুষ্ট ওই সংস্থার। দিশাই নাকি টুলকিট এডিট করে তা গ্রেটা থুনবার্গকে পাঠান। আবার গ্রেটা সেটি টুইটারে শেয়ার করার পর দিশাই সেটি উড়িয়ে দিতে বলেন বলে দাবি পুলিশের।
আদালতে তোলা হলে জেরার মুখে কেঁদে ফেলেছেন দিশা রবি। জানিয়েছেন, টুলকিটের মাত্র দু’টি লাইন এডিট করেছেন তিনি। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানিয়েছেন দিশা। ইতিমধ্যেই গুগলের কাছে ওই টুলকিটের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে।