কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে চিকিৎসকদের আন্দোলন আজ পঞ্চম দিনে পড়েছে। এখনও নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এরই মধ্যে সেই আন্দোলনস্থল ঘিরে ফেলা হল সিসিটিভি-তে। আন্দোলনস্থলের চারপাশে ১৪টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেগুলির ‘ফিড’ যাবে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। পুলিশের দাবি, হামলার আশঙ্কা করেই নিরাপত্তার জন্য এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন
শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অডিয়ো প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে চিকিৎসকদের আন্দোলনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে শাসকদলের উপর দোষ চাপানো যায়। তবে কুণালের এই দাবি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
পুলিশ সিসিটিভি বসানোর পর আন্দোলনকারীরা বলছেন, যারা আক্রমণ করবে, তারা তো জানিয়ে এসে করবে না। গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যেভাবে হামলা হয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘সেখানে সিসিটিভি থাকলেও তো কোনও লাভ হয়নি। আসলে শাসকদল মিথ্যা রটাচ্ছে। আন্দোলন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।’ সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, হতেও পারে, ‘আলাদাভাবে নজর রাখার জন্য। আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে।’ তবে কারণ যাই হোক না কেন আন্দোলনে এখনও অনড় ডাক্তাররা। রাতভর বৃষ্টি মাথায় নিয়েও অবস্থান থেকে সরেননি তাঁরা।
এদিকে কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় যাদবপুরের গড়ফা থেকে। শনিবার সকালে এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত।