Kolkata Minor Death: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ, জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ১৫ বছরের কিশোরের

Aritra Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 05, 2023 | 6:34 AM

Kolkata Minor Death: শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমে কিশোরের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব পরিবার। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বছর পনেরোর কিশোরকে ভর্তি করা হয় সংশ্লিষ্ট ওই নার্সিংহোমে। পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ পরিষেবা না মেলার কারণে মৃত্যু হয়েছে পরিবারের ছেলের।

Kolkata Minor Death: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ, জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ১৫ বছরের কিশোরের
নার্সিংহোমে মৃত্যু কিশোরের
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমে কিশোরের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব পরিবার। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বছর পনেরোর কিশোরকে ভর্তি করা হয় সংশ্লিষ্ট ওই নার্সিংহোমে। পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ পরিষেবা না মেলার কারণে মৃত্যু হয়েছে পরিবারের ছেলের।

ঘটনাস্থল নেতাজীনগর। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম নীলাদ্রি মান্না (১৫)। মঙ্গলবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিল পরিবার। বিকেল চারটে নাগাদ নাবালককে জেনারেল বেডে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, এরপর বুধবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ চিকিৎসক ওই কিশোরকে দেখতে এসে জানায় তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হবে। তবে পরিবারের তরফে নীলাদ্রিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নার্সিংহোমের তরফে রিস্ক বন্ডেও সই করতে বলা হয় বলে দাবি মৃতের পরিবারের।

এ দিকে, যে চিকিৎসক নীলাদ্রিকে দেখছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন সাইক্রিয়াটিক ও কার্ডিওলজি ডাক্তার প্রয়োজন। পরিবারের অভিযোগ, সন্ধ্যে ছ’টা বেজে গেলেও না সাইক্রিয়াটিক বা কার্ডিওলজি কোনও ডাক্তারই ওই কিশোরকে দেখতে আসেননি। এরপর গতকাল রাত্রিবেলা মৃত্যু হয় নাবালকের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নেতাজীনগর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই তাঁদের বাড়ির ছেলের।

মৃত নাবালকের মা গোপা মান্না বলেন, “ওর গায়ে হালকা জ্বর ছিল। সেই অবস্থায় ভর্তি করাই নার্সিংহোমে। যে চিকিৎসক ওকে দেখছিলেন তিনি জানান সাইক্রিয়াটিক ও কার্ডিওলজি ডাক্তার দেখাতে হবে। এরপর জানলাম আমার বাচ্চার অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। ওকে আইসিইউতে দেওয়া হয়েছে। আমরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলাম। এখানকার ডাক্তার বলল স্থানান্তরিত করতে হলে রিস্ক বন্ডে সই করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ ভয়ে আর অন্য কোথাও নিয়ে যাইনি। পরে শুনছি কোনও ডাক্তারই ছেলেটাকে দেখতে আসেনি।” যদিও, ঘটনার বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

 

 

Next Article