কলকাতা: শহরের বাতাসে পুজো পুজো (Durga Puja 2021) গন্ধ। ঠাকুর আর মণ্ডপ দেখতে রাস্তায় ভিড় জমতে শুরু করেছে। পুজোর গন্ধ একই রকম থাকলেও, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের পুজো একটু আলাদা। গতবারও অতিমারির (Pandamic) ভয় নিয়েই পুজো কাটিয়েছে বাঙালি। আর তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) আশঙ্কার মধ্যে কী ভাবে বিপদ না বাড়িয়ে আনন্দ করা যায়, সেই পরিকল্পনাই করছে প্রশাসন। পুজোর জন্য আলাদা গাইডলাইন (Guideline) প্রকাশ করেছে রাজ্য। আর এবার শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আগামিকাল, শনিবার থেকেই পুজোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে শুরু হচ্ছে।
শহরে মোট পুজোর সংখ্যা ২৭০১ টি। তার মধ্যে ২৫০০ পুজোয় থাকছে পুলিশ বাহিনী। ছোট পুজোর ক্ষেত্রেও মণ্ডপের বাইরে দুজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে শুধুমাত্র পুজোর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য। ২৪ ঘন্টাই পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তিনটি শিফটে পুলিশ কাজ করবে। ভোর 8 টে থেকে, দুপুর ৩ টে থেকে ও রাত ১২টা থেকে। দুপুর ৩ টের শিফটে সবথেকে বেশি পুলিশ থাকবে কারণ এই সময়ে সবথেকে বেশি মানুষ রাস্তায় নামে।
লালবাজারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শহরে প্রবেশের রাস্তায় ও বেরনোর পথে ১৫টি নাকা চেকিং পয়েন্ট থাকবে। থানা ও ট্রাফিকের সিসিটিভি ছাড়াও অতিরিক্ত ৭৫ টি পয়েন্টে সিসিটিভি থাকবে। শহর জুড়ে ৪৭টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলবে পুলিশের নজরদারি। থাকবে ২৬টি পিসিআর ভ্যান, ৩১ টি সিটি পেট্রল ভ্যান। সাহ্যায্যের জন্য মোবাইল পুলিশ থাকবে সাতটি জায়গায়। ২৬ টি মেট্রো স্টেশনে বসবে পুলিশ পিকেট। প্রত্যেক বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ পিকেট থাকবে। শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরেও পিকেট বসবে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি শপিং মল, বাজারে সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ নজরদারি চলবে।
প্রত্যেক ডিভিশনে থাকবে রিজার্ভ ফোর্স, ৪৪ টি থানার দায়িত্বে থাকবেন ১৬ জন ডিসি। এই ২২ টি থানার দায়িত্বে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার থাকবে। ৩৮ টি পয়েন্ট থেকে ট্র্যাফিকের বিশেষ নজরদারি চলবে।
হাইকোর্টের আদেশের পর কী ভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসেন। পুজো কমিটিগুলি আদালতের নির্দেশ মানছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শহর ঘুরেছেন পুলিশ কর্তারা দিন কয়েক আগে একডালিয়া পুজোর মণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। বিধাননগরের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ ঘুরে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। রাজ্য সরকার এরই মধ্যে পুজোর ১১ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা থেকে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: WB By-Election: উপনির্বাচনেও প্রচারের প্রধান মুখ মমতা, সঙ্গে রাজ, দেব, সায়নী, মিমিরা