কলকাতা: মোবাইলে টেলিগ্রাম রয়েছে? সিনেমাপ্রেমীদের অনেকেই আজকাল টেলিগ্রামে ঘোরাঘুরি করেন পছন্দের সিনেমা খোঁজার জন্য। কেউ আবার দুষ্প্রাপ্য কোনও বইয়ের খোঁজে টেলিগ্রামে ঘুরে বেরান। এমন বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে টেলিগ্রামে। তবে জানেন কি, এই টেলিগ্রাম অ্যাপকে ব্যবহার করেই প্রতারণার ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা। সম্প্রতি কলকাতার ঠাকুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা এমনই এক প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন। জালিয়াতি করে তাঁর থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গত বছরের নভেম্বরে তিনি এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায়। সেই মতো তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
আর তদন্ত এগোতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতারণার টাকার মানি ট্রেল খুঁজতে গিয়ে ঘুরে ফিরে আবারও উঠে এল সেই কলকাতা কানেকশনই। তদন্তের শুরুতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে বেঙ্গালুরুর দু’জনের নাম। বিশান্ত ডি.আর ও রবার্ট রাজ নামে দু’জনকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতা থেকে সৈয়দ আহমেদ থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনেই বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এসবের মধ্যেই মানি ট্রেলের উৎস খুঁজতে বেরিয়ে সাইবার থানার তদন্তকারী অফিসারদের হাতে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসে কলকাতার আরও দুই ব্যক্তির নাম। সেই মতো শুক্রবার তালতলা এলাকায় এক বিশেষ অভিযানে জাফর হুসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকেও।
শুক্রবার সাইবার থানার তদন্তকারী দল তালতলা ও পার্কস্ট্রিট চত্বরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর সিম কার্ড, চেক, পাসবই, ডেবিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে। সব মিলিয়ে ৫২টি ডেবিট কার্ড, ১৯টি কার্ড সোয়াপিং মেশিন, ১২টি রবার স্ট্যাম্প, ১১৫টি চেক ও পাসবই এবং ২৮টি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।