কলকাতা: ক্যাগের রিপোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। সাংবাদিক বৈঠক করে ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা জানালেন, শুধু ২০২১ সাল পর্যন্তই নয়, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত যা যা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ছিল, সব সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া রয়েছে। মুখ্যসচিব বললেন, ‘যে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে, সেটাও একটি মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি করা হচ্ছে।’ স্পষ্ট জানালেন, সরকার এই ক্যাগ রিপোর্ট ‘মানতে পারছে না’।
বি পি গোপালিকা এদিন বিভিন্ন দফতরের আমলাদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসে জানালেন, ‘রিপোর্টটা হচ্ছে ২০২১ সালে যে অর্থবর্ষে শেষ হয়েছে সেই বছরের। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্টটি দেখলে বুঝতে পারবেন, ২০০২-০৩ সাল থেকে রিপোর্টটা ধরছে। তার মানে, মোটামুটি ২০ বছরের রিপোর্ট যোগ করে বলা হচ্ছে ২০২১ সালের রিপোর্ট। এর ফলে একটি ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে যে, ২০২১ সালের রিপোর্টে এত টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।’
একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব আরও বলেন, ‘যদি ২০ বছর ধরে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেওয়া হত, তাহলে তো ক্যাগ আমাদের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল, যাঁরা অডিট করেন, তাঁদের তো প্রতি বছরই বলতে পারত।’ তাঁর যুক্তি, যদি কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বাকি থাকত, সেটা আগেই যদি জানাত, তাহলে পরবর্তী অডিটেই সেটার সমাধানের চেষ্টা করা যেত।
মুখ্যসচির ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমরা সমস্ত ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করেছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির কাছে। তারপরই টাকা ছাড়া হয়েছে।’ কারণ, মুখ্যসচিবের যুক্তি, যখন কেন্দ্র থেকে কোনও টাকা ছাড়া হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে, তখন দেখা হয় আগে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পড়েছে কি না। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ক্যাগ রিপোর্ট মানতে পারছি না। বলা যেতে পারে, এটা ঠিক রিপোর্ট নয়। ২০০২-০৩ সাল থেকে যে হিসেব ধরা হয়েছে, তার জন্যও ভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’