কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার। বাড়ির বড়দের আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। শুক্রবার সকালেই বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) এক শিশু কন্যার মৃত্যুর (Child Death) খবর আসে। বেলা গড়াতে আরও দুই শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে। এক বছর তিন মাস বয়সের এক শিশুকে গতকাল রাতে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বাসিন্দা ওই শিশুর জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। গত বুধবার থেকে অসুস্থ ছিল ওই শিশু। এদিন সকালে ১১ টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। শিশুর কোমর্বিডিটি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এরপর দুপুর ১২টা নাগাদ আরও এক শিশুর মৃত্য়ু হয় বিসি রায় হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই শিশুর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছিল সে। এরপর ক্যানিংয়ে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে হাজরার চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে পাঠানো হয়। সেখানে বেড না থাকায় ৪ দিন আগে পাঠানো হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে রাজ্যে গত সাতদিনে ৩০ শিশুর মৃত্যুর খবর মিলল। আর এর মধ্যে একইদিনে বিসি রায় হাসপাতালে তিন শিশুর মৃত্যু। চিকিৎসক মহলের একাংশ মনে করছে, দূরবর্তী হাসপাতালগুলি থেকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করার ফলে, অনেকক্ষেত্রেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গতকাল জানিয়েছিলেন, রেফার করার ক্ষেত্রে এই সমস্যার কথা। তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনও বলছেন, শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ, হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে কোমর্বিডিটি সংক্রান্ত সমস্যা যে শিশুদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।