কলকাতা: ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর, লেনিন সরণি থেকে এস এন ব্যানার্জি রোড- গত এক মাস ধরে একের পর এক হোটেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। শুক্রবার সকালে দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই মূল অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহাকে। তারপরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এভাবে ঘুরে বেড়ালেন অভিযুক্তরা, কখনও অটোতে, কখনও বাসে চেপে ঘোরাফেরা করলেন, অথচ টেরই পেল না কেউ! নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। যে সব হোটেলে ওই দুজন ছিলেন, সেই সব জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই।
জানা গিয়েছে, গত ১২ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ- ধর্মতলা ও লেনিন সরণির দুটি হোটেল বদলে রাত কাটিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর ২১ থেকে ২৮ মার্চ খিদিরপুর ও একবালপুরের হোটেলে ছিলেন তাঁরা। এর মাঝের সময় অর্থাৎ ১৪ থেকে ২১ মার্চ ওই দু’জন কোথায় ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২৮ মার্চ দুপুরের পর তাঁরা দিঘায় চলে যান। গতকাল, শুক্রবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১২ তারিখ এই হোটেলে কাটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, ২৮ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল কোথায় ছিলেন তাঁরা? অন্য কোনও হোটেলে নাকি ঘনিষ্ঠ কারও কাছে ছিলেন? জেরা করে তার উত্তর জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খিদিরপুর, ধর্মতলার হোটেলে তাঁরা যে প্রবেশ করেছিলেন, সেই সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্য়েই প্রকাশ্য়ে এসেছে।
অন্যদিকে, গত মাসে চাঁদনি চকের একটি দোকানে মোবাইলও সারাতে যান তাঁরা। সেই দোকানের কর্মীরা জানান, গোয়েন্দারা খোঁজ করতে গেলে তাঁরা প্রথমটায় কিছু মনে করতে পারছিলেন না, পরে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপথন দেখে মনে পড়ে তাঁদের। এছাড়া কলকাতায় এসে ওই দুই যুবক যে অটোয় চেপে কালীঘাট থেকে একবালপুরে গিয়েছিলেন তাঁর কাছেও খোঁজ নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
অটো চালক রূপেশ সাউয়ের বক্তব্য কালীঘাট ব্রিজের কাছ থেকে এই দুই ব্যক্তি অটো রিজার্ভ করেছিলেন। অটোচালকই একটি হোটেলে নিয়ে যান তাঁদের কথা মতো। পছন্দ না হওয়ায় পাশের আর একটি হোটেলে নিয়ে যান। ১২০ টাকা ভাড়া দেওয়া হয়েছিল অটোচালককে।