Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chittaranjan Seva Sadan: ঘনঘন বয়ান বদল, SSKM-এ যেতেই ‘উধাও’ মা, সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির হেনস্থা ঘিরে রহস্য

Chittaranjan Seva Sadan: ঘটনার বিষয়ে চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের অধ্যক্ষ বলেন, "মহিলা যখন তাঁর সন্তানকে দুধ খাইয়ে ফিরছিলেন সেই সময় দু'জন ব্যক্তি যাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি তাঁরা তাঁকে মারধর করে। ওনার কথায় অনেক অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। ওনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Chittaranjan Seva Sadan: ঘনঘন বয়ান বদল, SSKM-এ যেতেই 'উধাও' মা, সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির হেনস্থা ঘিরে রহস্য
এসএসকেএম হাসপাতালImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2023 | 6:56 AM

কলকাতা: চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে প্রসূতিকে মারধরের ঘটনায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে রহস্য। কে বা কারা তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ মহিলার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।এসএসকেএম সূত্রে খবর, মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠলেও সিটিস্ক্যানের রিপোর্টে মস্তিষ্কে কোন‌ও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তাঁর কপালে হাফ ইঞ্চি ক্ষত রয়েছে। এমনকী, মহিলার মাথার পিছনের দিকে এবং শরীরের আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। মাথার পিছনের চোটের কারণে মহিলার অনেকটা রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে দেহের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই।

অপরদিকে, চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন নেই। তবে আক্রান্ত মহিলার বয়ান ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মারধরের ঘটনায় তিনি প্রথমে দুজন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানালেও পরবর্তীতে তাঁদের সনাক্ত করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রথমে মারধরের অভিযোগ করলেও সূত্রের খবর বয়ান বদলে পরে তিনি জানিয়েছেন পড়ে গিয়েই চোট পেয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের অধ্যক্ষ বলেন, “মহিলা যখন তাঁর সন্তানকে দুধ খাইয়ে ফিরছিলেন সেই সময় দু’জন ব্যক্তি যাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি তাঁরা তাঁকে মারধর করে। ওনার কথায় অনেক অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। ওনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অথচ উনি বলেছেন আমায় পিছন থেকে মেরেছে। আবার একবার বলছেন আমায় দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়েছে। ভবানীপুর থানার হাতে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিয়েছি। ওরা বিষয়টিকে দেখছে।”

এ দিকে, চিত্তরঞ্জন থেকে এসএসকেএম নিয়ে আসার সময় অ্যাম্বুলেন্সে ওই মহিলার মা ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর থেকে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই সময় কার্যত একা ছিল রোগী। শুধু তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিত্তরঞ্জন থেকে দু’জন আসা দু’জন হাসপাতালের কর্মচারী।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অগস্ট চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। সদ্যোজাতকে এসএনসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলা নিজের সন্তানকে দুগ্ধপান করাতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিজের বেডে ফেরার পরই মহিলাকে হাসপাতালে ছাদে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, দু’জন ব্যক্তি তাঁকে ছাদে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে।